parbattanews

হাসপাতাল গেইটে হর্ণ বাজানো নিষেধ, তবুও কে শোনে কার কথা

হর্ণ

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুখে যাত্রীবাহি জীপ ষ্টপেজ। উপজেলা গেইট থেকে ধুরুং বাজার গামী ছেড়ে আসা জীপগুলো ৫ মিনিট এখানে অবস্থান করে থাকে। তবে এই ৫ মিনিটেই হাসপাতালে আগত প্রাথমিক রোগী, ভর্তি রোগী, চিকিৎসক, স্থানীয় ব্যবসায়ি সকলেই জীপের হর্ণের আওয়াজে অতিষ্ট, এমনই অভিযোগ জানালেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, শব্দদূষণ বলে ওদের কাছে কিছু নেই। অধিকাংশ চালক গাড়ীর হর্ণ কিভাবে বাজাতে হয় তাও জানেন না। তা ছাড়া হাসপাতালের সামনে হর্ণ বাজানো ট্রাফিক আইনের পরিপন্থি এটাও তারা ভূলে যান। “ সামনে হাসপাতাল, হর্ণ বাজানো নিষেধ” এই লেখা সম্বলিত একটি সাইন বোর্ড লাগানো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অপারগতায় চালকেরাও উদাসীন।

জানা যায়, মাস খানেক আগে একজন সরকারি গোয়েন্দা কর্মকর্তার সরেজমিন নজরে এলে তিনি জীপ মালিক সমিতিকে বিষয়টি জানালে মালিক সমিতি হাসপাতাল গেইটে ৫ মিনিট অবস্থানকালে হর্ণ বাজাতে নিষেধ করে দেন। পর দিন থেকে সেখানে হর্ন বাজানো বন্ধ হলেও ‘কে শোনে কার কথা’! এক মাসের ভিতরেই আবার অধিকাংশ চালক এটি মানছেনা।

শনিবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি জীপের চালকের কার্যক্রম গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করে দেখা যায় ৫ মিনিটে তিনি অন্তত: ২০-২৫ বার হর্ণ বাজিয়েছেন বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান। ১০ টা ২০ মিনিটে ছেড়ে আসা আরেকটি জীপের চালকের দিকে খেয়াল রাখা হলে দেখা যায় একই সময়ে তিনি হর্ণের সুইচ ৫-৭ বার চেপে ধরেছেন বলেও তিনি জানান।

‘হাসপাতাল গেইটে হর্ণ বাজানো নিষেধ, তবুও কেন চালকেরা মানছেনা’ এমন প্রশ্নের উত্তরে কুতুবদিয়া জীপ মালিক সমিতির সেক্রেটারী নুরুল আনছার চৌধুরী বলেন, উপজেলা সদর থেকে ধুরুংবাজার যেতে নির্দিষ্ট সময় ২৫ মিনিটের স্থলে ৫ মিনিট কমিয়ে ২০ মিনিট করা হয়েছে। অতিরিক্ত হর্ন বাজানোর সময় পাবেনা চালকেরা। অবশ্য হাসপাতাল গেইটে ৫ মিনিট অবস্থানকালে হর্ন না বাজাতে আগে কয়েকবার বলা হলেও চালকদের ফের বলে সতর্ক করে দিবেন বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version