হাসিনাকে বিচারের মধ্যেই থাকতে হবে : রিজওয়ানা হাসান

fec-image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণহত্যা, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মুখপাত্র, নির্যাতন-নিপীড়নের জন্য তাকে বিচারের মধ্যে থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠকে শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, বিচারের স্বার্থে, গণহত্যার যে অভিযোগটা আছে সেটা বিচারের স্বার্থে, নির্যাতন-নিপীড়ন বিচারের স্বার্থে, সর্বোপরি একটা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মুখপাত্র হিসেবে বিচারের প্রক্রিয়ায় তাকে থাকতে হবে।

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর (প্রত্যর্পণ) বিষয়ে ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভারত যা বলুক এতে তার বিচারে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমাদের অবস্থান বৈষম্য বিরোধী দেশ গঠন। যারা গণহত্যা, টাকা পাচার করেছে সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে সেই প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে, সেই প্রত্যাবর্তন কোনো প্রক্রিয়ায় হবে, দুই দেশের মধ্যে কীভাবে কথা হবে, সেগুলোতো পরের ব্যাপার। যখন আইনি প্রসেসটা শুরু হবে তখন এগুলো আমরা দেখব।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করছে ভারত এমন তথ্য জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জার্মানির বার্লিনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাসিনার প্রত্যার্পণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটি তারা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমেই করবেন।

ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিজওয়ানা বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য আছে। আমরা তো গত ১৫ বছর এই দেশে ছিলাম। বাস্তবতাটা আমরা জানি। আমাদের চেষ্টা হবে, আমাদের পাশের দেশ ও সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তবে সেটা হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে এটা বারবার ক্লিয়ার করা হচ্ছে।

বর্তমানে এখানে কোনো নতজানুর বিষয় নেই দাবি করে তিনি বলেন, যেটা আমাদের অধিকার। যেটা আমাদের প্রাপ্য। আমাদের বিবেচনায় সঠিক। সেই কথাগুলো যে যে চ্যানেলে বলা দরকার সেটা বলব। সেটা কূটনৈতিক হোক, রাজনৈতিক হোক বা সেটা ব্যক্তিগত বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হোক আমরা সেগুলো বলব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন