হিজবুল্লাপ্রধান নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানে বিক্ষোভ, করাচিতে সংঘর্ষ

fec-image

ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় ইরানের সমর্থনপুষ্ট এবং বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র মুসলিম রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লার প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধের রাজধানী করাচিতে। রোববারের সেই বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতি-সংঘর্ষও হয়েছে।

করাচি পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক আসাদ রেজা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, শনিবার হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর কিছুক্ষণ পর আগামী দিন রোববার করাচিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় পাকিস্তানের শিয়া মুসলিমদের রাজনৈতিক দল মজলিশ ওয়াহাদাতুল মুসলিমিন। হিজবুল্লার মতো এই রাজনৈতিক দলটি ইরানের সমর্থনপুষ্ট।

রোববারের ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। তাদের অনেকের হাতেই নাসরুল্লার ছবির পোস্টার ছিল। ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে দিতে তারা কনস্যুলেট কার্যালয়ের দিকে এগোতে শুরু করেন।

কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাতে বাধা দেয়ে এবং সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পাল্টা জবাব দিতে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করে মজলিশ ওয়াহাদাতুল মুসলিমিনের কর্মী-সমর্থকরাও।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা করা হয়েছেয়ে বলে জানিয়েছেন আসাদ রেজা।

গত শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লার ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর (আইএএফ) ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লার প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর সদর দপ্তর লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছিল। হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল ২ হাজার কেজির বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছিল অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থেকে।

সূত্র : রয়টার্স

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন