parbattanews

হোস্টেল চার্জ পরিশোধের জন্য দীঘিনালা জোনের সহায়তা প্রদান

দীঘিনালা জোনের উদ্যোগে এক স্কুল ছাত্রের হোস্টেল চার্জ পরিশোধের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রোববার সকালে জোন সদরে সহায়তা গ্রহণ করেন হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নুরুন্নবী মজুমদার।

হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো. নুরুন্নবী মজুমদারের ছেলে ওহি মজুমদার খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। করোনাকালীন সময়ে হোস্টেল বন্ধ থাকলেও হোস্টেল চার্জ ধার্য করা হয়। হোস্টেল এর টাকা যথা সময়ে পরিশোধ করতে না পারায় দীঘিনালা থেকে খাগড়াছড়ি গিয়ে ক্লাস করতে হয়।

তিন সন্তানের পড়ালেখা, হোস্টেল খরচ, পরিবারের ব্যায়ভার বহন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় বিষয়গুলি দীঘিনালা জোনের দৃষ্টিগোচর হলে, দীঘিনালা জোন পরিবার গুলোর পাশে এসে দাঁড়ায়। এসময় হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নুরুন্নবী মজুমদারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় ।

বোয়ালখালী ইউনিয়নের শরণার্থী পূনর্বাসিত নোয়াপাড়া গ্ৰামের বাসিন্দা বিমলেন্দু চাকমার চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রী সাধন পুতি চাকমার হাতে, দীঘিনালা জোন অধিনায়কের পক্ষ থেকে জোন এ্যাডজুটেন্ট লেফটেন্যান্ট মুহতাদি বিন মুনির আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।

এব্যাপার হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো. নুরনবী মজুমদার জানান, আমার ছেলে ওহি মজুমদার খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। করোনাকালীন সময়ে হোস্টেল বন্ধ থাকলেও হোস্টেল চার্জ ধার্য করে। পরে পরিবারের ভরন পোষন কষ্টকর হয়ে পড়ে।

চিকিৎসার জন্যে আর্থিক সহায়তা পেয়ে সাধন পুতি চাকমা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুখে-দুঃখে সব সময় যেকোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত।

দীঘিনালা জোনের এ্যাডজুটেন্ট লেফটেন্যান্ট মুহতাদি বিন মুনির বলেন, সব সময় পার্বত্য অঞ্চলে যেকোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতার কাজে এগিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে।

Exit mobile version