parbattanews

১১ দিনে এক হাজার ব্যক্তিকে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কঠোর অবস্থানে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের অভিযোগে চলতি মাসে ১১ দিনে এক হাজার ৮৭টি মামলা হয়েছে। সেই সাথে অর্থদণ্ড করা করা হয়েছে দুই লাখ বিশ হাজার ৫শত টাকা। তার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে মাস্ক পরিধান না করায় এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রশাসনের কঠোরতায়ও খাগড়াছড়িতে লকডাউন কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে। অর্থদণ্ডসহ প্রশাসনের কঠোরতায়ও লকডউন কার্যকর করা যাচ্ছে যাচ্ছে না। ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পরা নিয়ে উদাসিন। হাট-বাজারগুলো হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম আগের মতই চলছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আগের মতই রাতেও দোকানপাট খোলা থাকছে। দূরপাল্লার গণপরিবহন না চললেও সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক ও সিএনজি। সংক্রমণ রেড়ে গেলেও সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সাপ্তাহিক হাটবারকে ঘিরে বসতে দেখা গেছে হকারদের।

সোমবারও খাগড়াছড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম খাগড়াছড়ির সাপ্তাহিক বাজার। সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে ইজিবাইক ও সিএনজি। শহরের শাপলা চত্বরে লেগে ছিল তীব্র যানজট। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে সচেতনতামূলক প্রচার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড দেওয়া হলেও মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছে।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ জানা, মার্চ মাস থেকে এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উষা রানী ধর নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে খাগড়াছড়িতে করোনায় মারা গেছেন ৮ জন। এখন পর্যন্ত করোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮শ ৬৫ জন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতন করতে প্রশাসন দিনরাত মাঠে রয়েছে। মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আসছে ১৪ এপ্রিল থেকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থানে যাবে।

করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, খাগড়াছড়ির হাট-বাজারে লোক সমাগম বন্ধের দাবি সচেতন মহলের।

Exit mobile version