২০৩০ সালের আগেই এইডস নির্মূল করতে চায় বাংলাদেশ

fec-image

গুটি বসন্তের মতো এইডসকেও পৃথিবী থেকে নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল করতে জাতিসঙ্ঘের কাছে বাংলাদেশও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই টার্গেট পূরণে কাজ অব্যাহত রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট শাখার তথ্য মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে এই সময়ের মধ্যে মোট ইস্টিমেটেড কেসের ৯০ শতাংশ নির্ণয় করতে হবে। নির্ণিত কেসের ৯০ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। চিকিৎসার আওতাধীন রোগীদের ৯০ শতংশের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

বাংলাদেশে জনসংখ্যার বিচারে এখনো বেশি না হলেও এইডস রোগীর সংখ্যা আক্রান্তদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের এইচআইভি-এইডস বিষয়ক সংস্থা ইউনিএইডস।

সংস্থাটির তথ্য মতে, বাংলাদেশে এখন এইডস আক্রান্তের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ০.১ শতাংশ। ইউএনএইডসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। তবে দেশে চিকিৎসার আওতায় রয়েছে মাত্র আট হাজার রোগী। এই রোগে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮ জনের।

তবে বিশ্বব্যাপী আধুনিক ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্ভাবনের ফলে এইডসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। এখন সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এইডস আক্রান্ত হলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব।

বাংলাদেশের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এইডসে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসার হার প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৯ সালেও এইডস হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে সচেতনতার হার ছিল ৫২ শতাংশ, যা ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে। দুই বছর আগের যেভাবে চিকিৎসা সেবার আওতায় থাকা রোগীদের সংখ্যা ছিল ৬৫ শতাংশ, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৭৭ শতাংশে।

বাংলাদেশে সরকারিভাবে এইডসের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এইডস শনাক্ত করার জন্য সারা দেশে ২৭টি কেন্দ্র রয়েছে আর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় ১১টি কেন্দ্র থেকে।

বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *