parbattanews

২৪ ঘণ্টার অভিযানে গোলাবারুদসহ নিজেদের ক্যাম্প পুনরুদ্ধার করলো আরাকান আর্মি

মিয়ানমারের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে তাদের নিজেদের একটি ক্যাম্প পুনরুদ্ধার করেছে। শনিবার (৩ অক্টোবর) ক্যাম্প উদ্ধারে গেলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে রবিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় আরাকান আর্মি আবারো ক্যাম্প পুনরুদ্ধার অভিযানে যায়। এই অভিযানে মোট্টামাতে অবস্থিত মিয়ানমার আর্মির ৪৪ ডিভিশনের এলএলবি-০২ এর ৩০ জন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আরাকান আর্মি

তারা জানায়, রবিার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরাকান আর্মি তাদের হারানো ক্যাম্প পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। এসময় মিয়ানমার আর্মি প্রচুর গোলাবারুদ রেখেই পালিয়ে যায়, যা আরাকান আর্মির হস্তগত হয়।

জানা যায়, গত মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র গোলাগুলির পর আরাকান আর্মি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ক্যাম্পটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এখান থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লাইট ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন বা এলআইবি-১০৪ ও এলআইবি-২০৮ এর সৈন্যরা আরাকান আর্মির উপর বড় ধরনের হামলা শুরু করে। যেখান থেকে তারা দেদারছে আর্টিলারি গান এবং এমআরএলএস ফায়ার করছিল আরাকান আর্মির উপর। তবে আরাকান আর্মি বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্থানীয় জনগণের ঘরবাড়িগুলোকেই প্রধানত টার্গেট বানাচ্ছিল।

বিবৃতি থেকে জানা যায়, মিয়ানমার বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েব পার করছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসকে রাজনৈতিকভাবে একটি সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

তাতমাডা ট্রু নিউজ অ্যান্ড ইনফরমেশন টিম রবিবার (৪ অক্টোবর) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানায়, তাদের একটি ছোট ক্যাম্প দখল করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই ছোট্ট ক্যাম্পটি অং থার-জা (অং-থা-জে) গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিমে বা হটি সোয়া (এইটি জেউওই) গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ১১০০ মিটার দূরে অবস্থিত। এখান থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী আক্রমণ চালিয়ে আসছিল।

আরাকান আর্মি জানায়, গত রবিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় অদম্য মনোবল, প্রচণ্ড সাহস, যুদ্ধ দক্ষতা এবং প্রবল নেতৃত্বের সাথে আরাকান আর্মির সৈন্যরা অস্থায়ীভাবে পরিত্যাগ করা ক্যাম্পটির নিয়ন্ত্রণ পেতে পূর্বনির্ধারিত পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। আরাকান আর্মির সৈন্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ ও ভারি গোলাগুলির মধ্যেও বার্মিজ ব্রিগেড ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি পরাজিত করতে সক্ষম হয়।

এসময় মিয়ানমারের সৈন্যরা শুধু এমআরএলএস রকেটই নয়, হেলিকপ্টার গানও ছুঁড়েছিলো। আরাকান আর্মি তাদের আক্রমণ প্রতিহত করে বলেও জানায় তারা।

এদিকে শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মিয়ানমার সেনারা আরাকান আর্মির তিনটি ক্যাম্প আক্রমণ করে বলে জানায় আরাকান আর্মি। এ সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২০ জনেরও বেশি সদস্য মারা গিয়েছিল বলেও জানায় তারা। এছাড়া রবিবার (৪ অক্টোবর) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৬০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

Exit mobile version