parbattanews

২৮ বছরেও নির্মিত হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার

এখনো অরক্ষিত রয়েছে পেকুয়ার একাধিক বেড়িবাঁধ, নেই ঘূণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। যার ফলে উপকূল এলাকার হাজারো মানুষ চরম ঝুকিতে বসবাস করছে। চরম আতংকে রয়েছে উপকূলবাসী।

পেকুয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী, পেকুয়া সদর ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের মানুষ বর্ষা মৌসুমে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও যানমালের ব্যাপক ক্ষতির সাধন হতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, পেকুয়ার উপকূলীয় এলাকার মানুষ বছরের প্রায় ৬/৭ মাস বৈরী আবহাওয়ার সাথে লড়াই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড় মোবাবেলায় পেকুয়ায় বর্তমানে যে সমস্থ আশ্রয়ন কেন্দ্র আছে তাও জনসংখ্যার তুলনায় কম। পেকুয়া উপজেলায় পর্যাপ্ত আশ্রয়ন কেন্দ্র না থাকায় ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রায় ৩০ হাজারের ও অধিক লোক গণহারে মৃত্যু হয়। বিলিন হয়ে যায় ঘর-বাড়ি, চিংড়ির ঘের। এসব বিনষ্ঠ হয়ে চার কোটিরও অধিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

এ ব্যাপারে উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, ১৯৯১ সালের চেয়েও বর্তমানে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আমার ইউনিয়নের লোক। অরক্ষিত বেড়িবাঁধের ফলে সামান্য জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। এ ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া এলাকার ১ কিলোমিটার ও গোদারপাড় এলাকার আড়াই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছাড়া উজানটিয়া ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বর্তমানে অরক্ষিত। যেকোন মুহুর্তে ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে তলিয়ে যেতে পারে এলাকার লবণ ও চিংড়ির ঘের।

তিনি জানান, এ ইউনিয়নের ১০টি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ঝুকিতে এড়াতে পেকুয়ার চর, টেকপাড়া, ঘোষালপাড়া এলাকায় আরও ২/৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজন। এদিকে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর জানান, আমার এলাকায় যে আশ্রয় কেন্দ্র আছে তাও জনসংখ্যার তুলনায় কম। জরুরী ভিত্তিতে বকশিয়া ঘোনার টেক থেকে নতুন ঘোনা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ চরম ঝুকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহাবুবউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের অরক্ষিত বেড়িবাঁধ সম্পর্কে আমাকে স্থানীয় চেয়ারম্যানরা জানিয়েছে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এমপি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করেছি।

Exit mobile version