parbattanews

৩০টাকা কেজিতে চাল পাবে মাটিরাঙ্গায় নিম্ন আয়ের মানুষ

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। আর এ সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেনা স্থানীয় প্রশাসন। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং স্থানীয় খাদ্য-শষ্য ব্যবসায়ী মো. জুলহাস উদ্দিন ও মো. জসিম উদ্দিন ডিলারের সৌজন্যে ত্রিশ টাকা কেজিতে চাল পাবে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। ত্রিশ টাকা দরে প্রতিজন ৫কেজি করে চাল ক্রয় করার সুযোগ পাবে।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ গেইটে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক সবুজ, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম সোহাগ ও খাদ্য-শষ্য ব্যবসায়ী মো. জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, করোনাভাইরাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তাদের কারণে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সবকিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

এ অবস্তায় সাধারণ মানুষকে ন্যায্যমুল্যে চাল পৌঁছে দিতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসার জন্য স্থানীয় খাদ্য-শষ্য ব্যবসায়ী মো. জুলহাস উদ্দিন ও মো. জসিম উদ্দিন ডিলারকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে যখন ক্রান্তিকাল চলছে তখন প্রশাসন তাদেরকে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে মন্তব্য করে খাদ্য-শষ্য ব্যবসায়ী মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, যতদিন সম্ভব আমরা নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো। পাশাপাশি অন্যদেরও মানবিকবোধ থেকে হত-দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

চড়া দামের চালের বাজারে ত্রিশ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পেরে খুশি শ্রমজীবী মানুষ এ কার্যক্রম অব্যাহত রাাখার দাবী জানান। তারা ন্যায্যমূলে চাল দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখারও দাবী জানান।

Exit mobile version