parbattanews

৮দিনেও উদ্ধার হয়নি রাঙামাটি সীমান্তে অপহৃত ৩জন

অপহরণ

ফাতেমা জান্নাত মুমু:
দীর্ঘ ৮দিনেও উদ্ধার হয়নি রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তে অপহৃত তিনজন। অপহৃতরা হলো- দুই পর্যটক আব্দুল্লাহ জুবায়ের, জাকির হোসেন মুন্না ও বান্দরবানের স্থানীয় গাইড মাংকা ম্রো। তবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্ধার তৎপরতা থেমে নেই।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত তিন জনের সন্ধানে ভারত সীমান্তের গেছে আরও তিনজন। সন্ধানকারিরা হলো- বান্দারবানের স্থানীয় গাইড মাংসাই ম্রো’র বড় ভাই রুমা উপজেলার পাচিং কারবারী পাড়ার কারবারী পাচিং ম্রো, রুমার সাবেক ইউপি মেম্বার মাইং পং রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ৮নং বরকল ইউনিয়নের মেম্বার অনুচন্দ্র। শনিবার সকালে তারা অপহৃতদের খোঁজ খবর নিতে রাঙামাটির বিলাইছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা সেপুপাড়া দিয়ে ভারত সীমান্তের মিজুরামে গেছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার নবগঠিত ইউনিয়ন বড়থলীর ইউপি চেয়ারম্যান আতু মং মারমা।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন পাটি (এএলপি)’র হাতে জিম্মি তিন জন কোথায় এবং কি অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আরকান লিবারেশন পাটি (এএলপি)’র কমান্ডার গাইড মাংসাই ম্রো’র বড় ভাই পাচিং ম্রো সঙ্গে মোবাইল ফোনে ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করার পরে এ বিষয়ে আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের একটি বিশেষ যৌথ টিম অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টায় দিকে বান্দরবানের রুমার কেওক্রাডং পাহাড়ী রাস্তা ধরে রাঙামাটিতে আসার পথে বিলাইছড়ি উপজেলার বড়তলী ইউনিয়নের সেপুপাড়া এলাকায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন পাটি (এএলপি)’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হয় বান্দরবানের স্থানীয় গাইড মাংসাই ম্রো (২৮)সহ ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জাকির হোসেন মুন্না (৩৪) ও আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের (২৬)। অপহণকারীরা তাদের রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার পাহাড়ী ঝিড়ি পথে ভারতের মিজুরাম সীমান্তের দিকে নিয়ে গেছে বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়।

Exit mobile version