parbattanews

‌বান্দরবানে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, সঙ্কটে পার্বত্যবাসী: সিভিল সার্জন

দিন যতই যাচ্ছে বেড়ে চলেছে বান্দরবানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বান্দরবানকে রেড জোন ঘোষণা করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি বান্দরবানে। বরং ক্রমান্বয়ে প্রতিদিন এ সংখ্যা আরো বাড়ছে।

ইতোমধ্যে বান্দরবানে উর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষজন করোনা আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। বলতে গেলে এক থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বান্দরবানে।

করোনা লক্ষণ জনিত সকল রোগীর রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন পাঠানো হয় কক্সবাজারে। তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানে গত একদিনে ১৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১৭ জুন) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা।

কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন করে আবার ১৭ জনের করোনার পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাসসহ জেলা সদরে ১৬ জন ও লামা উপজেলায় ১ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১০ জন। এর মধ্যে জেলায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ জন ও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন।

করোনার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানান, কয়েকদিনে ১১৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নতুন করে আরো ১৭ জন করোনা শনাক্ত হয়।

বাস্তব পক্ষে দেখা যাচ্ছে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় জমিয়ে চলাচলের কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১০ জুন বান্দরবান পৌরসভা, সদর ও রুমা উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন করে জেলা প্রশাসন।

বর্তমানে বলতে গেলে এক ধরনের সংকটের মধ্যে রয়েছে বান্দরবানবাসী। প্রথমদিকে করোনার ভয় অন্যদিকে রেড জোন এ গৃহবন্দি সকল বান্দরবানবাসী। বিশেষ করে এদের মধ্যে কষ্ট পড়ে গেছে শ্রমজীবী ও সাধারণ চাকরিজীবী মানুষজন।

কর্মহীন মানুষের কথা চিন্তা করে বান্দরবান জেলা পরিষদ থেকে নতুন করে ত্রাণ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বেচ্ছা অনুদান লকডাউন এ থাকা সকল মানুষের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Exit mobile version