স্টাফ রিপোর্টার, পার্বত্যনিউজ :
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানা অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভুত হওয়ার পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে পুন:নির্মাণের কাজ। গত বুধবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে থানা ভবন পুড়ে যাওয়ার পর সেদিন রাত থেকেই সেনাবাহিনীর দেয়া ৫টি তাঁবুর নিচে রাত্রিযাপন করেছে মানিকছড়ি থানা পুলিশ।
এদিকে বুধবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ সদস্যদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও বৃহষ্পতিবার রাত থেকে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় রান্নার আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার শেখ মো: মিজানুর রহমান জানান, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ছিল বলেই স্বল্প সময়ে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। পুলিশ সদস্যদের থাকার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৫টি তাবুঁ ও ৮০ পিচ কম্বল দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন মানিকছড়ি থানা ভবন পুন:নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বলেও নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের এ শীর্ষ কর্তাব্যাক্তি।
জানা গেছে, মানিকছড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের রেশন সামগ্রী অগ্রিম পাঠানো হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পাঠানো হয়েছে একই সাথে । মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শারমিন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ৫০টি কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য। স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যারাক ভবন নির্মান কাজ শেষ করা হবে। তিনি বলেন, যেহেতু সামনে নির্বাচনে পুলিশের সহযোগিতা লাগবে, তাই দ্রুত সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা পুলিশ সদস্যদের সহায়তা এগিয়ে এসছে বলেও জানা তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) মো: শাহজাহান হোসেন জানান, পাহাড়ী এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত অস্ত্র মজুদ রাখা হয়। সেগুলোই মুলত আগুনে পুড়েছে। অবরোধে দায়িত্ব পালনের জন্য ভোরে পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ অস্ত্র নিয়ে বের হয়েছিলেন। নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অস্ত্রের কোন সঙ্কট হবেনা বলে তিনি পার্বত্যনিউজকে জানান।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মানিকছড়ি থানা ভবন পুড়ে যায়। এতে পুড়ে গেছে অস্ত্রাগার, হাজতখানা ও সৈনিকদের দুটি ব্যারাক। এসময় আগুনে পুড়ে গেছে ৬৪টি অস্ত্র ও ৪৮৪০ রাউন্ড গোলাবারুদ। এসময় গোলাবারুদের বিকট শব্দে আশেপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ভয়াবহ আগুন থেকে থানার অফিস কক্ষটি ছাড়া আর কিছুই রক্ষা পায়নি। ইতিমধ্যে ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।