অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েও করোনা নিষেধাজ্ঞা অমান্য

fec-image

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যাত্রী সেবার নামে চরম নৈরাজ্য ও করোনায় সরকারি নির্দেশনা অমান্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।ক্ষু্দ্ধ যাত্রীরা এ পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার (২ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কাউন্টার থেকে যাত্রী নিয়ে আরামবাগ কাউন্টার থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সেঁজুতি ট্রাভেলস পরিবহনের কথিত এসি বাস যার নং(ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-১০৮১)। এসি বাসের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিটা যাত্রী থেকে চড়া মুল্যের পাশাপাশি সরকারি করোনা নির্দেশনার দোহাইয়ে প্রতি দুই আসনে একজন যাত্রী নেয়া হবে বলে অতিরিক্ত ৬০% ভাড়া আদায় করে। কিন্তু গাড়ি ছাড়ার আগ মুহূর্তে দেখা যায় সরকারি করোনা নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে প্রতি আসনে যাত্রী তুলে নেয়।অতিরিক্ত ভাড়ায় টিকেট নেয়া যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলেও ঐ গাড়িতে থাকা গলাকাটা সুপার ভাইজার যাত্রীদের কথা কানেও তুলেনি।

অপরদিকে গাড়িটা আরামবাগ থেকে বিকাল ৪টায় ছাড়লেও অত্যন্ত ধীরগতিতে চালায় এবং সড়ক থেকে বিধিবহির্ভূত যাত্রী তুলতে শুরু করে। এছাড়া এসি বাস নাম ভাঙ্গিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে চড়া ভাড়া নিলেও ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাত্রীরা কোন এসি সেবা পায়নি। বারবার অভিযোগ করলেও ঠিক হয়ে যাবে বলে বলে কক্সবাজার পর্যন্ত সময় ক্ষেপন করেছে। অপরদিকে গাড়িটি রাজধানী থেকে বের হয়ে মেঘনার পরে একটি ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ সময়, এরপর বিভিন্ন কাউন্টারে সময় ক্ষেপন, কুমিল্লা হোটেল নুর মহলে ৪৫ মিনিট সময় ক্ষেপন করে।

বিকাল ৪টার গাড়ি চট্টগ্রাম দামপাড়ায় পৌঁছে রাত ১০টায়।ওখানে পৌঁছে গাড়ি বন্ধ করে দেয় চালক।অতিষ্ঠ যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে উত্তর দেয় সুপার ভাইজারের নির্দেশনানুযায়ী তারা গাড়ি চালান।সুতরাং কাউন্টার থেকে গাড়ি ছাড়তে দেরি হবে বলে উত্তর দেয়।পরে গাড়ির এক যাত্রী তাদের কাউন্টারে গিয়ে দেখে তাদের কাউন্টারে কোন যাত্রী নেই। অন্য কাউন্টারে গিয়ে গিয়ে যাত্রী খুঁজতে শুরু করেছে। এভাবে ২০/৩০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর যাত্রীদের পিড়াপিড়িতে গাড়ি আবার স্টার্ট দেয়।

হয়রানির শিকার যাত্রীদের অভিযোগ, করোনার দোহাইয়ে সরকারি নির্দেশনার কথা বলে প্রতি খালি আসনের বিপরীতে একদফা ৬০% অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, আবার এসি বাসের কথা বলে চড়া টিকেট দাম নিলেও ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত কোন এসি সেবা দেয়নি। বরং করোনার কথা বলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা আসনগুলোতে যাত্রী ভর্তি করে নিয়ে একদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেছে, আবার ঐসব আসন এবং এসির জন্য নেয়া অতিরিক্ত টাকা গুলোতো ফেরত দেয়নি, বরং উল্টো করোনার এ ভয়াবহ সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সকল যাত্রীকে করোনা ঝুকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে অহেতুক ঘন ঘন দাড়িয়ে সময় ক্ষেপন করে বিকাল ৪টার গাড়ি যদি চট্টগ্রাম রাত ১০টায় পৌঁছে, তাহলে কক্সবাজার পৌছতে কত সময় লাগতে পারে বলে গাড়িতে থাকা এক পুলিশ যাত্রী চরম হতাশা প্রকাশ করে।

হয়রানির শিকার যাত্রীরা জানান, যে পরিবহন কর্তৃপক্ষ সময়ের মূল্যের চাইতে নিজের পকেট ভারী করা, সেবার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, সরকারি করোনা নির্দেশনা অমান্যকারী ও সেবার নামে গলাকাটা বাণিজ্যে জড়িত, ঐ পরিবহন যাত্রীদের বয়কট করার পাশাপাশি এ পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনা, গণপরিবহন, যাত্রী সেবা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন