অনলাইন প্রতারণা: বাঁচার পাঁচ উপায়

fec-image

দেশে করোনাভাইরাস মহামারির সময় যখন নিত্যনতুন অনলাইন ভিত্তিক বেচা-কেনার প্রতিষ্ঠান জন্ম নিচ্ছে, তখন ক্রেতারা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোনটি বিশ্বাসযোগ্য কিংবা কোনটিতে প্রতারণার আশংকা আছে।মহামারির ঘরবন্দি সময়টাতে কেনাকাটার জন্য বাইরে যাওয়ার উপায় ছিল না। সেই সময়টাতে অনলাইনই ছিল একমাত্র ভরসা।

তবে বর্তমানে করোনার চোখরাঙানি কমলেও সেই অভ্যাস রয়ে গেছে এখনও। মার্কেটে ঘুরে জিনিসপত্র কেনার জন্য সময় নষ্ট করতে চান না কেউই। বাড়ি বসে অর্ডার দিলেই পছন্দের সামগ্রী পৌঁছে যায় একেবারে দোরগোড়ায়। আবার বিভিন্ন দিবস সামনে রেখে নানান অফার তো রয়েছেই। এসবের কারণেই দিন দিন সবাই শপিংয়ের জন্য নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন অনলাইনের প্রতি।

তবে এত্তো এত্তো সুবিধার পাশাপাশি অনলাইন শপিংয়ে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন অনেকেই। হাজার হাজার টাকা হারাচ্ছেন মানুষ। আগের তুলনায় অনলাইন লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় বড়সড় এক প্রতারণার ফাঁদ পেতে রেখেছে প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে সাফ হয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন শপিংয়ে আসক্ত হলে সতর্ক থাকুন। প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে কিছু বিশয় মাথায় রাখুন-

১. অচেনা কোনও ই-কমার্স সাইটে নিজের ব্যাংক অথবা ডেবিট কার্ডের তথ্য দেবেন না। শুধুমাত্র জনপ্রিয়, পরিচিত অনলাইন শপিং সাইট থেকেই শপিং করুন। ই-মেলে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে অনেক সময় নানা লিংক আসে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও অনেক অচেনা লিংক পেতে পারেন। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

২. অনলাইন লেনদেনের সময় দেখে নিন সিকিউরিটি সকেট লেয়ার এনক্রিপটেড রয়েছে কি না। কীভাবে বুঝবেন? যে URL-টি ওপেন করেছেন, দেখে নিন লিংকটির বাঁ-দিকে HTTPS-এর ‘S’ আছে কি না। অনেক সময় HTTP থাকে। S না থাকলে এড়িয়ে যান।

৩. পরিচিত ওয়েবসাইটের নাম ও লুক ভাঙিয়ে ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। তাই ডোমেন যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। দেখে নিন যে সাইটটি থেকে শপিং করবেন ভাবছেন, সেটির বানান ঠিক আছে কি না। অদ্ভুত কিছু অ্যাড্রেস থেকে লিংক মেল করা হয়। সেগুলো এড়িয়ে চলুন।

৪. অনেক সময় কোনো কোনো অচেনা ই-কমার্স সাইট অবিশ্বাস্য কিছু অফার দিয়ে থাকে। লোভে পড়ে সেই ফাঁদে পা দেবেন না। তাহলেই বিপদ। আইফোন কিংবা ব্র্যান্ডের টিভি কখনওই ৮০ শতাংশ ছাড়ে পাওয়া যায় না। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে শপিং করুন।

৫. মাঝে মধ্যে নিজের ইমেলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। বদলে ফেলতে পারেন ডেবিট কার্ডের মোবাইল পিন কোডও। পাশাপাশি লেনদেনের সময় OTP ভেরিফিকেশন করে নিলেও অনেকটাই নিরাপদে থাকবেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন