parbattanews

অনৈতিকভাবে নিবন্ধন করলে নিজেদের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতোই হবে

রোহিঙ্গা সংকটের পর থেকে বন্ধ করে দেয়া জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার শীঘ্রই কেন্দ্রীয়ভাবে খুলে দেয়া হবে। তবে, এটি ব্যবহারে সচেতন হতে হবে সবাইকে। অর্থ বা কোন সুবিধার বিনিময়ে কোন বিদেশীকে নিবন্ধন করলে নিজেদের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতোই হবে। প্রান্তিকভাবে নিবন্ধন সার্ভার ব্যবহাকারিরা নৈতিকতায় আবদ্ধ না হলে এর সুফল আসবে না।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার চালুকরণে সচেতনতা ও এলজিএসপি এবং ইএএলজি প্রকল্পের কার‌্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপসচিব) শ্রাবন্তী রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি আল আমিন পারভেজ, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমানসহ জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় জেলা প্রশাসক জানান, দীর্ঘ আড়াই বছর সার্ভার বন্ধ থাকায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনসাধারণ অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, বিদ্যালয়ে ভর্তি, পাসপোর্ট গ্রহণ, ভোটার তালিকায় নিজ নাম অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভোগান্তি পেয়ে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে বার বার কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হয়। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব সার্ভার খুলে দেয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছেন। তবে, শর্ত সাপেক্ষে বিষয়টি পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের সুবিধার্থে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিগণ সচেতন হলে নিবন্ধন কার্যক্রমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত সম্ভব। হয়তো অল্প কয়েক দিনেই সার্ভার ব্যবহার সুবিধা পাবে কক্সবাজারবাসী।

এ সময় জেলার চারটি পৌরসভার মেয়র ও ৭১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, সচিব ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে ‘কক্সবাজার জেলার চারটি পৌরসভাসহ আট উপজেলায় দীর্ঘ আড়াই বছর যাবত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম।

Exit mobile version