parbattanews

অপহরণ নয় ভালবেসে পালিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে প্রেমিককে বিয়ে করেছেন হ্লাসাইং মারমা

ততকব্‌া

স্টাফ রিপোর্টার:

অপহরণ নয়, ভালবেসে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণপূর্বক প্রেমিক মিজানকে বিয়ে করেছেন বান্দরবানের লামা উপজেলার হ্লাচো মারমা। তবে মেয়ের বাবা অংছা প্রু মারমা লামা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।

এফিডেভিট সূত্রে জানা গেছে,  সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত,কক্সবাজার-এ এফিডেভিট মূলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন হ্লাচো মারমা পিতা: অংছা প্রু মারমা, মাতা: এনু মারমা, সাং- সাপেরগাড়া, ইউনিয়ন: ৩নং ফাঁসিয়াখালী, উপজেলা: লামা, জেলা: বান্দরবান পার্বত্য জেলা, বয়স: ২০বৎসর, পেশা: গৃহীনি, জাতীয়তা: বাংলাদেশী।

এফিডেভিটে উল্লেখ করেন; আমি বিভিন্ন মুসলিম লোকজনের সাথে মেলা-মেশার সুবাদে এবং একজন সচেতন মহিলা হিসেবে ইসলাম ধর্মের গুণাগুন, দুনিয়া, আখেরাত, দোযখ, বেহেস্ত ও মানুষের সঠিক মূল্যবোধ,মানবতা ইত্যাদি সংক্রান্তে জেনে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট ও অনুরক্ত হইয়া অদ্য ২৬/০৫/২০১৬ইং তারিখ সকাল ১০ঘটিকায় ইসলামী শরিয়াতের বিধান মোতাবেক পাঁচ কলেমা পড়ে ইসলামের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিলাম এবং আমার পূর্বের বৌদ্ধ ধর্ম ও নিজপূর্ব নাম হ্লাচো মারমা ত্যাগ করিলাম।

অদ্য হইতে আমি একজন মুসলমান হিসেবে আমার নাম মোছাম্মৎ জন্নাতুল ফেরদৌস হিসেবে পরিচিত হইব এবং একজন সাবালক, সচেতন, বিবেকবান রাষ্ট্রের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে স্বইচ্ছায়, স্বজ্ঞানে কাহারো বিনা বাধায়,বিনাপরোচনায় আমার উক্ত বৌদ্ধ ধর্ম পরিত্যাগ পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়া ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক জীবন পরিচালনা করিব।

অপরদিকে একইদিন বিকেলে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে (কাজী অফিসে) গিয়ে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক সরকারি নিকাহনামা মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সাপেরগাড়া, ইউনিয়ন: ৩নং ফাঁসিয়াখালী, উপজেলা: লামা, জেলা: বান্দরবান এলাকার মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে একই এলাকার ইসলামধর্ম গ্রহণকারী জন্নাতুল ফেরদৌস এর। বর্তমানে তাদের দু’জনের দাম্পত্ত্য জিবন সুখে শান্তিতে অতিবাহিত করছেন বলে জানিয়েছেন। তারা সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

এদিকে একই ঘটনায় বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ৮ম শ্রেনীর হ্লাসাইং মারমা নামের এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করেছেন।  অপহরণের সাথে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে মোঃ মিজান (২১) এর নেতৃত্বে মনছুর আলম (২২), পিতা- নুর মোহাম্মদ, মোঃ জসিম (১৯), পিতা- করন আলী, মোঃ মঞ্জুর (১৮), পিতা- শফিক কালু, মোঃ মিজান (২০), পিতা- ফয়েজ আহাম্মদ ও মোঃ হাছন (২৫), পিতা- মকবুল হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মে বিকালের দিকে মেয়েটি প্রতিদিনের মত ৭টায় দিকে দাদির বাড়িতে ঘুমাতে যায়। মেয়েটির দাদির বাড়ি নিজ বাড়ি থেকে ১০ মিনিটে দূর রাস্তা। কিন্তু রাত হলেও মেয়েটি দাদির বাড়িতে পৌঁছেনি। মেয়েটির পরিবার মনে করেছিল সে হয়ত দাদির বাড়িতে ঘুমাচ্ছে। আর তার দাদি মনে করেছিল সে তার বাবার বাড়িতে ঘুমিয়েছে। কিন্তু সকালে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে না আসলে খোঁজাখুজি পরেও সন্ধান মেলেনি।
এ ঘটনায় অপহৃত হ্লাসাইং মার্মানীর পিতা অংছাপ্রু মার্মা মেয়ের অপহরণের অভিযোগ নিয়ে প্রথমে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার কাছে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় ভাবে উদ্ধারের আশ্বস্তও হয়। আশ্বস্তের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় গত ২৭ মে লামা থানায় অপহৃত পিতা মামলা দায়ের করেন। লামা থানার মামলা নং- ১১, তারিখ- ২৭ মে ২০১৬।

Exit mobile version