parbattanews

অবশেষে বন্ধ করলেন কচ্ছপিয়া স্কুলের ফি উত্তোলন

অবশেষে বন্ধ করলেন কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত ফি উত্তোলন কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরে পেলেন স্কুলের শিক্ষার্থী-অভিভাবক সহ সর্বমহল।

সোমবার নানা মাধ্যমে তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশের পর কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ছালেহ উদ্দিন। তিনি করোনাকালে সরকারি নির্দেশ মতে শিক্ষাথীর্দের কাছ থেকে সকল ধরনের ফি উত্তোলন না করতে নির্দেশ দেন।

সূত্র মতে, বিগত ২ সপ্তাহ ধরে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজারাধিক শিক্ষার্থীর কাজ থেকে প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার নানা নাম দিয়ে মেমো ছাড়াই ১৪/১৫ শত টাকা ফি আদায় করছে অভিযোগ তোলে শতশত শিক্ষার্থী। তাদের সাথে যোগ দেন কমিটির সভাপতি সহ সদস্য ও অভিভাবকরা। তারা এ নিয়ে রোববার (১৫ নভেম্বর) কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে মানববন্ধন করেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সিকদার এসব বিষয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমাকে অবগত করেন তৎক্ষনাৎ। খবর পেয়ে তিনি (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) সেদিন ছুটে আসেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এ মানববন্ধনে।

এসময় মানববন্ধনে আসা উপস্থিত অভিভাবক, শতশত ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি বলেছিলেন, মানববন্ধন করার দরকার নেই। আমি প্রধান শিক্ষককে ডেকেছি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবো। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না সরকারের নির্দেশ এসেছে।

এ নির্দেশ মতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবছার উদ্দিন এর সাক্ষরিত একই দিন দুপুর ২ টায় একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেন নোটিশ বোর্ডে। এ বিজ্ঞপ্তিতে ফি বন্ধের কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবছার উদ্দীন বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। টিউশন ফি নিয়ে এতো কথা! এখানে রাজনৈতিক খেলা চলছে। এসব বন্ধ হওয়া দরকার।

জানতে চাইলে পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সিকদার বলেন, আমাদের কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি অন্তত গরীব এলাকায় অবস্থিত। এছাড়াও করোনার কারণে এলাকার মানুষ বেকার জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় শিক্ষর্থীরা স্কুলের এসব ফিঃ দিতে পারছে না। সভাপতি হিসেবে তাকেও জানান নি কেউ। তাই বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেন। এরপর অবশেষে সকল ধরনের ফিঃ সাময়িক স্থগিত করতে বাধ্য হন প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে এ নিয়ে অভিভাবক মহলে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। তবে সবাই চায় স্কুল চলুক সরকারি নিয়ম-নীতিতে।

Exit mobile version