parbattanews

অবশেষে মন্ত্রী সভায় অনুমোদিত হলো বহুল বিতর্কিত পার্বত্য ভূমি কমিশন সংস্কার আইন

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইনের নীতিগত অনুমোদন

পার্বত্য  নিউজ রিপোর্ট:

অবশেষে মন্ত্রী সভায় অনুমোদিত হলো বহুল বিতর্কিত পার্বত্য ভূমি কমিশন সংস্কার আইন। ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনে কমিশনের চেয়ারম্যানের পরিবর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতেই ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়নের জন্য ৩ মাস সময় দিয়ে এ আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ১৯৯৭ সালে প্রণয়নকালে ৬ মাসের মধ্যেই বিধিমালা করার কথা বলা হলেও তা করা সম্ভব হয়নি। সংশোধনীতে (সময় বেঁধে দেয়া) বিষয়টি তুলে দেয়া হয়েছে।

এ আইনে মূলত তিনটি বিষয়ে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে কমিশনের বৈঠকে সার্কেল চিফের অনুপস্থিতিতে তার প্রতিনিধিকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া, এখানে অবৈধ দখল, অবৈধ বন্দোবস্ত দেয়ার বিষয়টি এ কমিশন নিষ্পত্তি করবে ও আইনের বাইরেও বৈধ মালিকদের হাতছাড়া ভূমির জটিলতাও সমাধান করা হবে। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই বিরোধ নিষ্পত্তিকরণ এবং কমিশনের প্রশাসনিক পদে নিয়োগে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অগ্রাধিকার দেয়া।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০১ সালে পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তি চুক্তি হয়। তারই আলোকে এক কমিশন গঠন করা হয়। সংশোধিত আইনে কমিশনের চুড়ান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত না হলে কমিশনের চেয়ারম্যানের  দেওয়া সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হতো। এ বিষয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন ৫ সদস্যর কমিশনে যেকোন তিন জনের নেওয়া সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।

মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, এই আইন সংসদে অনুমোদনের পর ৩ মাসের মধ্যে তা কার্যকর করতে মন্ত্রিসভা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধানে এই ৩ মাসের বিষয়টি উল্লেখ থাকবে না বলে জানান তিনি।

Exit mobile version