অবশেষে মাটিরাঙ্গার সেই ‘লজ্জাবতী বানর’টি এখন বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের পথে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের পথে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ধরা পড়া বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর। মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান’র আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় অবশেষে বিলুপ্ত প্রায় বিরল প্রজাতির এ লজ্জাবতী বানরটির স্থায়ী নিবাস হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক।
সোমবার দুপুরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান চট্টগ্রাম বণ্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষন বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ অফিসার মো: ইসমাইল হোসেন’র নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে লজ্জাবতী বানরটির হস্তান্তর করেন।
এসময় সহকারী কমশিনার (ভুমি) মো: রায়হানুল হারুন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মোশাররফ হোসেন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমাসহ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, শনিবার বিকালের দিকে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে গাছের ডালে বসে থাকতে দেখে বানরটি ধরে নিয়ে আসে মাটিরাঙ্গার দূর্গম বামাগুমতির স্কুল পড়ুয়া দুষ্টু ছেলের দল। স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান বিরল প্রজাতির এ বানরটি নিজের হেফাজতে আনেন এবং চট্টগ্রাম বণ্যপ্রানী সংরক্ষণ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান জানান, স্থানীয় স্কুল ছাত্রদের হাতে ধরা পড়া বিরল প্রজাতীর এ লজ্জাবতী বানরটির ইংরেজী নাম ‘স্লো লোরিস’। প্রাণী কুলের মধ্যে বিপদাপন্ন এবং বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী এটি। তাই প্রাণীটি সংরক্ষন জরুরী বলেই বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে এর স্থায়ী নিবাসের ব্যাবস্থা করেছি।
প্রসঙ্গত, বিরল প্রজাতির এ বানরটি বিভিন্ন পোকা-মাকড় ও কীট-পতঙ্গ ছাড়াও বিভিন্ন ফলমুল ও গাছের পাতা খেয়ে থাকে। দিনের অধিকাংশ সময় গাছের ঢালে ঘুমিয়ে থাকলেও রাতের বেলায় চলাফেরা করে এসব লজ্জাবতী বানর। অতিমাত্রায় লজ্জা পায় বলে কারো মুখোমুখি হয় না। আবার কেউ আক্রমন করলে বাঁচার জন্য ভয়ে জড়সড় হয়ে পিছনের দিকে হটতে থাকে। বাংলাদেশের সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে লজ্জাবতী বানরের দেখা পাওয়া যায়।