অবশেষে ৫২ বছর পর কাকারা মাঝেরফাঁড়ি বাজারে নির্মিত হচ্ছে বাজারশেড

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাঁড়ি বাজারে ফিরে আসছে প্রাণচাঞ্চল্য। বাজারটিতে দীর্ঘ ৫২ বছর পর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা উদ্ধারপূর্বক বাজারশেড নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামানের সার্বিক তত্বাবধানে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাজার এলাকার খাস জায়গা পরিচিহ্নিত করেন। পরে ওই সরকারি খাস জায়গায় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, কাকারা মাঝেরফাঁড়ি বাজারে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি অর্ধশত বছর ধরে খাস জায়গা দখলে নিয়ে নানা স্থাপনা ও দোকানপাট নির্মাণ করেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে ওই খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা উদ্ধারপূর্বক বাজারশেড নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই আলোকে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি চকরিয়া) প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজারশেড নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তবে, সরকারিভাবে সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাজারটি নানা অবহেলার কারণে কোন ধরণের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যবহারের জন্য ছিল না কোন ধরণের বাজারশেড, টিউওবয়েল ও টয়লেট। বাজারশেড না থাকার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। অথচ এ বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর লাখ টাকার ওপরে রাজস্ব আয় করে থাকে।

এদিকে, দীর্ঘদিনের পুরাতন এ বাজারটিতে নতুন করে বাজারশেড নির্মাণে প্রশাসন উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে উৎফুল্ল ভাব দেখা দেয়। তাদের মতে, বাজারশেড নির্মাণ হলে দুই ইউনিয়নের শত শত ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ দুর্ভোগ লাগব থেকে পরিত্রাণ পাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে পারবেন বলে জানায়।

স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী দিদারুল ইসলাম জানান, সরকার দীর্ঘদিন পরে হলেও অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে খাস জমি উদ্ধার করে বাজারশেড নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংশনীয়।

অপরদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান দাবি করেন, বাজারশেডটি নির্মাণ করা হলে ক্রেতা-বিক্রেতারা শান্তিতে বাজারে বেচা-বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে মানুষ যে দুর্ভোগ পোহাতে হতো তা থেকে রক্ষা পাবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার মানুষের দাবি ছিল একটি বাজারশেড নির্মাণের। প্রশাসনের পক্ষথেকে বাজারের জায়গাটি পরিচিহ্নিত করে সরকারি জায়গা উদ্ধার করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজারে অবৈধ দখলে থাকা স্থাপনাসমূহ সরিয়ে নিতে অবৈধ দখলদারদের নির্দেশ দেয়া হবে এবং নির্দেশনা অমান্য করে স্থাপনা না সরালে প্রশাসন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরবর্তী বাজারশেড নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন