অবসর ভাতা পেতে পানছড়ির বয়োবৃদ্ধ মিজানের আকুতি!

fec-image

অবসরে যাওয়ার দুই বছরের অধিক সময় পার হলেও অবসর সুবিধার কিছুই পায়নি বয়োবৃদ্ধ মিজানুর রহমান। কোন গ্যাড়াকলে বিগত আড়াই বছর ধরে তার ফাইলটি অচল রয়েছে তা পরিবারের সদস্যদের মাঝে অজানা। টাকার অভাবে চিকিৎসা তো দুরের কথা বাজার থেকে ঔষধ কিনে সেবন করবে সে সামর্থ্যটুকুও নেই। শেষ বয়সে এসে বর্তমানে বিছানাতেই কাতরাচ্ছে ছব্বিশ ঘন্টা। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও জিপি ফান্ড মিলে প্রায় দশ-পনের লক্ষাধিক টাকা জমা রয়েছে তার। বয়োবৃদ্ধ মিজানের ঝরছে দু’চোখের অশ্রু। তার একটাই আকুতি মুত্যুর আগে টাকাটা পাবো তো ?

পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলি আহমেদ জানান, ১৯৮৭ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরী) পদে নিয়োগ পায় মিজানুর রহমান। ১৯৯৩ সাল থেকে এমপিও ভুক্ত হন। যার ইনডেক্স নং২৬৯৯২৯। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তিনি অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার পর পরই সুবিধা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি প্রদান করা হয়েছে।

মো. মিজানুর রহমান উপজেলার দমদম মাস্টার টিলার মৃত আবদুল মান্নানের সন্তান। তিনি পাঁচ সন্তানের জনক। মেঝো সন্তান মো. জহিরুল ইসলাম জানান, আমার বাবা এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সরকারি বিধি মোতাবেক কাগজ পত্রগুলি ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর ডাকযোগে ও ই-মেইলে পাঠানো হয়েছিল। বছর খানেক ধরে কোন খোঁজ খবর নাই দেখে ঢাকা নীলক্ষেত বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট অবসর ভবনে সরেজমিনে গিয়ে যোগাযোগ করি। এ সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডাকযোগে ও ই-মেইলে হবেনা। সব কাগজ পত্রাদি অন লাইনে করা লাগবে। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট অন-লাইনে আবেদন করেছি। যার আবেদন আইডি এস-৬৫৯২০২২৩৮। কিন্তু আজ একটি বছর পার হলেও কোন খোঁজ খবর নাই। আমার অসুস্থ বাবার একটাই আকুতি অবসর ভাতার টাকাটা যেন দ্রুত পান।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছে বয়োবৃদ্ধ মিজানুর ও তার পরিবারের সদস্যরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন