parbattanews

অবহেলিত এক জনপদের নাম প্রশিক্ষণ টিলা বাঙ্গালী পাড়া

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:

রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে চার কিলোমিটার দূরে প্রশিক্ষণ টিলা বিজিবি ক্যাম্পের পাশে ভূমিহীনদের নিয়ে বসতি স্থাপন শুরু করেন হাজার খানেক বাঙ্গালী পরিবার। দুর্ঘম পাহাড়ি এলাকায় প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে তিলে তিলে এলাকাটিকে বসবাসের উপযোগী করে তোলে। কষ্ট সাধ্য এই কাজে অনেকে টিকে থাকতে না পেরে এলাকা ছেড়ে চলে আসে।

বর্তমানে এই এলাকায় দুই শতাধিক পরিবার টিকে আছে।  বিভিন্ন ধরনের কৃষিকাজ, পশু পালন ও কায়িক শ্রমের মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করে।

ওই এলাকাটি উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। দুর্গম হওয়ায় ওই এলাকার লোকজন সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এখানে মেলেনা চিকিৎসা সেবা, জনস্বাস্থ্য সেবা, দূর্যোগকালীন বরাদ্দ, উন্নয়ন বরাদ্দ, বিদ্যুৎ সেবা, ব্যাংক ঋনসহ অন্যান্য সেবা পাওয়া যায় না।

এলাকাটি দরিদ্র হওয়ায় আবুল খায়ের কোম্পানী থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে স্কুলটি পুর্ণ নির্মাণ করে দেন। ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোন থেকে প্রশিক্ষণ টিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘ ১৪ বছর।

এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই এলাকায় দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত বসবাস করছি। সহায় সম্বলহীন হওয়ায় এই এলাকায় এসে অনেক কষ্ট করে বাঁচার চেষ্টা করছি। আমরা বাঘাইছড়ি ও দিঘীনালা উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকায় বসতি স্থাপন করি।

আমরা জানিনা যে, আমরা কোন উপজেলার বাসিন্দা। সরকারি কাজের জন্য বাঘাইছড়িতে গেলে তারা দীঘিনালার বাসিন্দা বলে। আবার দীঘিনালায় গেলে বাঘাইছড়ির বাসিন্দা বলে। প্রকৃত পক্ষে আমরা জানিনা যে, আমরা কোন উপজেলার বাসিন্দা। যার কারণে আমরা কোন ধরনের সরকারি সেবা পাচ্ছিনা। কোন উপজেলার জনপ্রতিনিধিও আমাদের কাছে আসে না। আমরা খুবই কষ্টের মধ্যদিয়ে জীবন যাপন করছি। আমরা আমাদের ঠিকানা নিশ্চিত হতে চাই। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাদিম সারোয়ার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার উপজেলা থেকে চার কিলোমিটার দূরে একটি বাঙালি এলাকা রয়েছে। ওই এলাকাটি আমার উপজেলা না দীঘিনালা উপজেলায় পড়েছে সীমানা নির্ধারণ হলে জানা যাবে। ওই এলাকার জনগণ সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে কি না আমার জানা নেই।

Exit mobile version