পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের নির্মূলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: পার্বত্যমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশেসিং এমপি বলেছেন, সরকার পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের নির্মূলে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধি প্রবিধি প্রণয়নে জনসংহতি সমিতিসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। কমিশনকে কার্যকর করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার চায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার কাঠামো। নির্বাচন কমিশন যখনই এসব দপ্তরের নির্বাচন দিবে তখনই নির্বাচন হবে।
অপর দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলাম এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়বাসীর উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্যবাসীর প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম ৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়াম্যান কংজরী চৌধুরী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠক সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ বাস্তবায়নে অগ্রগতি, পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা, শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সৃষ্ট পদ, কর্মরত, শূন্য পদ, প্রতি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুপাত, প্রাথমিক শিক্ষা হতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার এবং এর হ্রাস কল্পে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মোট চাষাবাদ যোগ্য ভূমির পরিমাণ, জুম চাষ যোগ্য ভূমির পরিমাণ ও জুম চাষ ছাড়াও মৌসুমি খাদ্য সংকট নিরসনকল্পে ভূট্টা জাতীয় খাদ্য শস্য চাষাবাদ নিয়ে আলোচনা হয়।