অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কউকের অভিযান : ভেঙ্গে দেয়া হল ৫টি ভবন
অনুমোদনহীন অবৈধ ভবণ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ওই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের অংশ হিসেবে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলার গাড়ীরমাঠ এলাকায় ২টি ভবণের আংশিক ,টেকপাড়ায় একটি ও ঘোনারপাড়া এলাকায় ২ টি ভবণের আংশিক অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এসময় অবৈধ ভবন নির্মাণ না করার শর্তে অঙ্গিকারনামা নেয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ । এসম কউকের ইমারত পরিদর্শকগণ, পুলিশ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কউক সূত্রে জানা যায়, শহরের ঝাউতলায় গাড়ীরমাঠ এলাকার আব্দুল লতিফের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম এর নির্মাণাধীন ৩ তলা ভবনের আংশিক ভেঙ্গে দেয়া হয়। এছাড়া একই এলাকার মৃত নুরুল উল্লাহর পুত্র শফিউল আলম অনুমোদিত ভবন নির্মাণ করায় কউক হতে অনুমোদন ব্যতীত বাড়ি নির্মাণ করবে না মর্মে অঙ্গীকার নেয়া হয়।
অপরদিকে, মধ্যম টেকপাড়ায় ফয়েজুল হক (পান্না) হতে কউকের অনুমোদন ব্যতীত ভবন নির্মাণ করবেনা মর্মে ইতোপূর্বে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করা হলেও তা অমান্য করে অনুমোদিতভাবে ৩ তলা ইমারত নির্মাণ করায় ভবনের সম্মুখ অংশভেঙ্গে ফেলা হয়। এবং ঘোনারপাড়া কৃষ্ণানন্দ ধাম সড়কে শিমুলপাল এবং সজীব পাল সরকারি খাস জমিতে ভবননির্মাণকরায় ২টি ভবনের আংশিক অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেরচেয়ারম্যান লে: কর্ণেল(অব:)ফোরকান আহমদ এলডিএমসি পিএসসি বলেন, করোনাকালীন সময়ে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। তাই সকলকে ইমারত নির্মাণবিধি মালা অনুসরণ করে ইমারত নির্মাণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান তিনি।