parbattanews

অস্ত্রবিরতি শেষে শান ও রাখাইনে ফের যুদ্ধ শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একতরফা অস্ত্রবিরতি শেষ হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর অস্ত্রবিরতি শেষ করে ফের দেশটির শান ও রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সাথে সেনাবাহিনী আবারও যুদ্ধ শুরু করেছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশান আর্মি (টিএনএলএ) এবং রেস্টোরেশান কাউন্সিল অব শান স্টেট (আরসিএসএস) জানিয়েছে যে, তাদের সেনারা সোমবার আর মঙ্গলবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে লড়াই করেছে। কিছু সংঘর্ষ বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে চলেছে। শান রাজ্যের মোংকুং ও কুটকাই এবং রাখাইন রাজ্যের অন্তত পাঁচটি এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত যুদ্ধ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন সোমবার দ্য ইরাবতীকে বলেছেন যে, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স শান্তি চায় না, যাদের মধ্যে রয়েছে টিএনএলএ, এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)।

সেনাবাহিনী তাদের অস্ত্রবিরতির সময় না বাড়ানোর কারণে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের কিছু নেতা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ আগামী মাসে শান রাজ্যের কেংটুং টাউনশিপে আবারও সব পক্ষের শান্তি আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

১৭ সেপ্টেম্বর কেংটুংয়ে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার পর ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স তাদের অস্ত্রবিরতির সময় চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ওই শান্তি সম্মেলনে অ্যালায়েন্সের সদস্যরা মিয়ানমার সরকারের সাথে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালের দিকে শান রাজ্যের কুটকাই টাউনশিপের কোং সার এলাকার টিএনএলএ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনটি ব্যাটালিয়ন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অস্ত্রবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র দুই দিন পরেই এই হামলা চালানো হলো।

মেজর তার আইকে কিয়াউ দ্য ইরাবতীকে মঙ্গলবার জানান যে, কোং সার এলাকার পাহাড়ি এলাকার যে ৪৫, ৬৯ ও ২৪২ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি রয়েছে, তারা যৌথভাবে এ হামলা চালিয়েছে।

রাখাইন রাজ্যেও অন্তত পাঁচটি জায়গায় যুদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বুথিদাউং, মিনবিয়া ও মিয়েবোন টাউনশিপ, যেখানে আরাকান আর্মির বাহিনী সাময়িকভাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ঘাঁটি দখল করেছিল।

সংঘর্ষের পর আরাকান আর্মি একটি বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের কমান্ডো বাহিনী (মিয়ানমার সেনাবাহিনীর) ঘাঁটিতে তিন ঘন্টা ধরে হামলা চালানোর পর সেটার দখল নিয়েছিল”।

বিবৃতি অনুসারে আরাকান আর্মি সেখান থেকে বন্দুক ও গোলাবারুদ নিয়েছে এবং লড়াইয়ে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ১০ সেনা নিহত হয়েছে। বিবৃতির সাথে অস্ত্রশস্ত্রের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।

সূত্র: সাউথএশিয়ানমনিটরডটকম

Exit mobile version