parbattanews

আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে কাশ্মিরের স্কুলগুলো; নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগ

আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে কাশ্মিরের স্কুলগুলো। ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (১৯ আগস্ট) শ্রীনগরের ৯০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯৬টি খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে স্কুলগুলো খুললেও সেখানে শিশুদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।

ভয়াবহ আকারে সামরিকায়িত এ উপত্যকায় ইতোমধ্যেই অবস্থান করছে ভারতীয় বাহিনীর প্রায় সাত লাখ সদস্য। ব্যাপক মাত্রায় নজরদারি আর রাস্তার মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য। এমন তীব্র সামরিক উপস্থিতি সত্ত্বেও দিল্লির পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। পাথর হাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে কাশ্মিরি জনতা! এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের স্কুলে পাঠানো ও তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন অভিভাবকরা।

এর মধ্যেই জম্মুতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাইক র‍্যালি বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে স্থানীয়দের। উপত্যকার মুসলিমরা যেন এর প্রতিক্রিয়া বা পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে না পারে সেজন্য ফের বন্ধ করে দেওয়া মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। যা উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয়দের।

পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য শিশুদের স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে তাতে ভরসা পাচ্ছেন না বাবা-মায়েরা। ফারুক আহমেদ দার নামের একজন অভিভাবক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর প্রশ্নই আসে না।

দিল্লির সিদ্ধান্তে সরকারি স্কুলগুলো আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনও বন্ধ রয়েছে বেসরকারি স্কুলগুলো।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের সায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে দেয় দিল্লি। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা জাভেদ-এর ভাষায়, ‘বাকি দেশ যখন ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে তখন কাশ্মিরিরা খাঁচার প্রাণীর মতো বন্দি রয়েছে। বঞ্চিত হচ্ছে মৌলিক মানবাধিকার থেকে।’

Exit mobile version