parbattanews

আগামী প্রজম্মের জন্য সংস্কৃতি গুলো রক্ষা করতে হবে

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

আগামী প্রজম্মের জন্য নিজেদের জাতিগত সংস্কৃতিগুলো রক্ষা করতে হবে। একটি জাতি বা গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য হলো সংস্কৃতি। তা দিন দিন আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কৃতি বা জাতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার ( ০৯ এপ্রিল ) সকালে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৫নং বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ের মগপাড়া মাঠে  তিন দিনব্যাপী এম কে যুব শৃঙ্খলা উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে এবং  সিআইএডিএইচপিডি নামক এনজিও এর সহযোগিতায় চৈত্র সংক্রান্তি পাহাড়ের চাকমা সম্প্রদায়ের সামাজিক উৎসব বিজু উদযাপন উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এসময় আলোচনা সভায় এম কে যুব শৃঙ্খলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি সিন্দুমনি চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৫নং বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরুন কান্তি চাকমা।

এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বন্দুকভাঙ্গা ইউপি মহিলা সদস্য মঞ্জুরানী চাকমা, মহিলা কার্বারী রিনা চাকমা, এম কে যুব শৃঙ্খলা উন্নয়ন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা কামিনী রঞ্জন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক তুষার চাকমা প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সংস্কৃতি হলো একটি জাতির জীবন। সংস্কৃতি ছাড়া একটি জাতি টিকে থাকতে পারেনা। সংস্কৃতি যদি হারিয়ে যায় জাতির অস্তিত্ব টিকা রাখা কঠিন। তাই সংস্কৃতিগুলো ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং তা ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন,  সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নটি দুর্গম হওয়ায় এখানে শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই কষ্টকর। তার ফলপ্রসূ  হিসেবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি বন্দুকভাঙ্গা ৪নং ওয়ার্ডের মগপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে আশ্বাস দিয়েছিলেন একটি কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্মাণ কাজের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।  তাই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি, তাদের ঐ প্রতিষ্ঠান গুলো স্থাপন করলে তাদের কষ্ট লাঘব হবে। এর আগে  তিনব্যাপী বিজু উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন চাকমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।

Exit mobile version