parbattanews

আজিজনগরে ভূমিদস্যু বাহিনীর দৌরাত্মায় বান্দরবানে ১৭ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবানে পাহাড়ে ভূমিদস্যু বাহিনীর দৌড়াত্ম্য থেকে বসতভিটা-জমি রক্ষায় ১৭ পরিবারের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের চাঁন্দা বসন্ত পাড়ার বাসিন্দাদের জমি দখল ও জোর পুর্বক বাগান থেকে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোক্তভোগী ১৭টি পরিবার।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে বান্দরবানের শহরের একটি রেস্টুন্টের কনফারেন্স রুমে এই সংবাদ সম্মেলন করে আজিজনগর ইউনিয়নের চাঁন্দা বসন্ত পাড়ার মানুষ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত মো: আব্দুর রহিম, হাছিনা বেগম, নূরুল আলম, কালু মিয়া, আহমেদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও বান্দরবান জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী মো. আব্দুর রহিম বলেন, জেনারেল হোল্ডিংয়ে ৪টি কাগজের বিপরীতে আমিসহ পরিবারের ১৫ একর জায়গা রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দক্ষিণ রুপকানিয়া গ্রামের বাসিন্দার ভুমিদস্যু মো. রফিক আহম্মদসহ তার বাহিনীর লোকেরা আমার বসতবাড়িসহ অধিকাংশ জায়গায় দখল করে নিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। কোথাও কোনো বিচার পাচ্ছিনা।

হাছিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। ভূমিদস্যু মো. রফিক আহম্মদ ৮টি বায়না দলিলে ৩৫ একর জায়গা ক্রয়ের কথা বলে প্রায় ৭৫ একর জায়গা দখল করে নিয়েছে।

তারমধ্যে সরকারি বনাঞ্চলও রয়েছে। আমার ৭ একর জায়গা দখলের জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাগানের সবগুলো গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, লামা’সহ বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি’সহ ১৩টি মামলা দায়ের করেছে ভূমিদস্যুরা। নিজের জায়গা জমি রক্ষায় আমিও ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দায়ের করেছি।

তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. রফিক আহম্মদ বলেন, আমি কারো জায়গা জমি দখল করিনি। আমার কেনা জায়গায় আমি লোকজনের মাধ্যমে রক্ষণা-বেক্ষণ করছি। হাছিনা বেগম’সহ অভিযোগকারীরা সবাই ভূমিদস্যু। সরকারি শতশত একর ভূমি দখল করে রেখেছে পরিবারগুলো।

Exit mobile version