আজ পবিত্র ঈদুল আজহা

fec-image

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। অন্যতম ধর্মীয় উৎসবটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে উদযাপন করেছেন মুসলমানরা। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। এদিন ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চির বিদায় নেওয়া স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।

নবী ইব্রাহীম (আ.), তাঁর স্ত্রী হাজেরা ও ছেলে ইসমাঈলের ত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত উৎসব ঈদুল আজহা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। এ কোরবানি শুধু পশু কোরবানি নয়, নিজের পশুত্ব, ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা ও অহংকারের কোরবানি করা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে। আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশির সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’

এক ভিডিও বার্তায় ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদুল আজহা মানে ত্যাগের উৎসব। আসুন, ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেই।’

ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান

পবিত্র ঈদুল আজহার জামাতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় গতকাল স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে আট দফা নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে ঈদগাহে ও মসজিদে আসতে হবে। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদ ও ঈদগাহের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আসা মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদ অথবা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিনের দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদুল আজহা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন