কক্সবাজার প্রতিনিধি:
১৯৭৮ সালে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামেনি এখনও। সীমান্তের দীর্ঘ ৫৪ কিলোমিটারের বেশীর ভাগ স্থানে কাঁটা তারের বেড়া না থাকায় এসব অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অনুপ্রবেশ ঘটছে রোহিঙ্গাদের। সেই সাথে গত বছর অক্টোবর মাসে মিয়ানমারে আবারো সহিংসতা শুরু হলে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঘটে ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থীর। বর্তমানে এ দেশের অভ্যন্তরে থাকা প্রায় ৬ লক্ষ শরনার্থী নিয়ে সংকটে রয়েছে সরকার।
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মিয়ানমারে ফেরার সম্ভাবনা গিয়ে ঠেকেছে শুন্যের কোঠায়। উখিয়া এবং টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থী। মিয়ানমারে সামরিক জান্তাদের ভয়ে দেশ ত্যাগ করা রোহিঙ্গারা এখানে এসেছেন জীবন বাঁচানোর আশায়, বলছেন রোহিঙ্গারা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কক্সবাজার অফিস প্রধান সংযুক্ত সাহানী জানান, দুই দেশের সরকারের অন্তরিকতাতেই সামাধান হবে রোহিঙ্গা শরনার্থী সমস্যার।
জাতিসংঘের শরনার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ না হয়েও রোহিঙ্গা শরনার্থীদের এ দেশে অবস্থানের ফলে নানা সামাজিক সংকট তৈরি হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।