ডেস্ক নিউজ:
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ার-ম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘সামরিক বাহিনী সম্পর্কে পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীদের অবিশ্বাস ও শঙ্কা দূর করতে শিগগিরই সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে বসার আগ্রহ জানিয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ইউপিডিএফ ও জনসংহতি সমিতির মধ্যকার দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনতে তাদের সঙ্গেও সংলাপে বসা হবে।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আদিবাসী ও উপজাতিদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে দুদিনব্যাপী এক সেমিনারের শেষ দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশন সব সময়ই সোচ্চার। মানবাধিকার কমিশন ও আইন কমিশন যৌথভাবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইন তৈরির কাজ করছে। শিগগিরই এর কাজ শেষ হবে।’
‘আদিবাসীসহ’ দেশের সব সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের দায়িত্ব সরকারের বলে উল্লেখ করেন মিজানুর রহমান। পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা দূর করার জন্য সেখানকার বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তির ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীরও অবদান আছে। কিন্তু তাদের বিষয়ে অধিকাংশ ‘আদিবাসীর’ ভুল ধারণা রয়েছে। ‘আদিবাসী ও সেনাসদস্যদের মধ্যকার অবিশ্বাস দূর করতে তাই আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।’
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে সাংসদ ও আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য সারাহ্ বেগম কবরী বলেন, সরকারকে বুঝতে হবে তার সফলতা নির্ভর করে সব জনগোষ্ঠীর কর্মক্ষমতার ওপর। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাইদ মো. শাহীন রেজা।
সূত্র: প্রথম আলো