parbattanews

আদিবাসী বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার:

আদিবাসীদের জীবনমান ও তাদের আইনগত সুবিধা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। দাতা সংস্থা ইউএনডিপি এই সফরের সকল ব্যয়ভার বহন করবে। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, উষাতন তালুকদার এমপি, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, এম এ আওয়াল এমপি, জে এফ আকতার চিনু এমপি, পার্বত্য জেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান, বন ও পরিবেশ সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক উ্ন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, ইউএনডিপির দুই প্রতিনিধি প্রমুখ।

সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে পার্বত্য এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এজন্য যদি বিদ্যমান কোনো আইনের সংশোধনেরও প্রয়োজন হয় তবে অতিদ্রুত সেই আইন সংশোধন করারও তাগিদ দেয়া হয়েছে। পার্বত্য জেলাসমূহে ইউএনডিপির কার্যক্রম, চাকরিতে উপজাতি কোটায় অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে মতামত গ্রহণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের অগ্রগতির উপর আলোচনা হয়।

কমিটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় শূন্য জনবল দ্রুত পূরণের সুপারিশ করে। একইসঙ্গে এসব পদে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগে অগ্রাধিকার দেয়ারও সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কাপ্তাইয়ের রিজার্ভ ফরেস্টকে ডি-রিজার্ভড ঘোষণা করে সেখানে সামাজিক বনায়ন করার প্রস্তাব করা হলে প্রস্তাবটি আরো পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়াও তিন পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি’র আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত আড়াই শতাধিক স্কুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়।

Exit mobile version