আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন
পার্বত্য নিউজ ডেস্ক:
৯ আগষ্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে গতকাল ৩রা আগস্ট রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে এক সমাবেশে জনাব রাশেদ খাঁন মেনন এমপি ও ডঃ মিজানুর রহমান গংদের বক্তব্যের প্রতিবাদে অদ্য ০৪/০৮/১৩ রোজ রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি বিল্ডিং এর ৩য় তলায় বীরোত্তম খাজা নিজামউদ্দিন মিলনায়তনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এবং উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলকাছ আল মামুন ভূইয়া। উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইসমাইল নবী শাওন আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ রাজু, ছাত্র পরিষদের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম, মোসলেহ উদ্দিন সোহাগ, দেলোয়ার হোসেন, শাহাদাত হোসেন ফরাজী, মনির হোসেন প্রমুখ।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলকাছ আল মামুন ভূইয়া তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি উপজাতিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তাদেরকে আদিবাসী বানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব তিমুর বানাতে চায়। তারই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় গত কাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে এক সমাবেশে জনাব রাশেদ খাঁন মেনন এমপি ও ড. মিজানুর রহমান গংরা এদেশের উপজাতিদেরকে উস্কিয়ে দিচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলকাছ আল মামুন ভূইয়া বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এর বক্তব্য জাতিকে হতবাক করেছে। তার বক্তব্যে সংবিধান লংঘনের শামিল, এটি তার মত দায়িত্বশীল ব্যক্তির পক্ষে খুবই বেমানান। আমরা আশা করি তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন। তিনি বলেন ১৯৯৭ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তিতে (ক) সাধারণ অংশে ১ নং উপধারাতে বলা হয়েছে- পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতী অধ্যুষিত অঞ্চল বলা হবে। (খ) ধারা ১ নং উপধারা বলা হয় উপজাতী শব্দটি বলবৎ থাকিবে। সেখানেতো আদিবাসী শব্দটি একবার ও উল্লেখ করা হয়নি। এখন প্রশ্ন আসে চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে কি তারা তাদের আত্ম পরিচয় ভুলে গিয়েছিলেন? আসলে তারা চুক্তি অনুযায়ী উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পদ বা কর্তৃত্ব নিয়ে পার্বত্য এলাকাকে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আদিবাসী ইস্যু তারই একটি ধাপ।
তিনি বলেন নৃ-তাত্ত্বিক বা জাতিতাত্ত্বিক, ভাষাতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক বা অন্য কোন বিবেচনায় তা বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে না।
সকল বিবেচনায় বাংলাদেশের বাংলাভাষা ভাষি বৃহত্তর জনগোষ্ঠি বাঙ্গালীরাই পার্বত্য এলাকার প্রকৃত আদিবাসী। তাই সার্বভৌমত্ত্ব ও অস্তিত্ত্বের স্বার্থে জাতি বিনাশী আদিবাসী বিতর্কে স্বদেশের পক্ষে রাশেদ খান মেনন জনাব ড. মিজানুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, সুলতানা কামাল গংদের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। অন্যথায় ইতিহাসের আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি হুসিয়ারী উচ্চারণ করেন।