আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তামিমের কৃতিত্ব অর্জন

fec-image

ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার দিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানালেন তামিম ইকবাল। এই ফরম্যাট থেকে ছয় মাসের বিরতি শেষ হওয়ার দিন দশেক আগেই পুরোপুরি থেমে যাওয়ার কথা জানালেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।

বাংলাদেশের হয়ে খেলা ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে ২৪ দশমিক ১ গড় এবং ১১৭ স্ট্রাইকরেটে ১ হাজার ৭৫৮ রান করেছেন তামিম। কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে শুধুমাত্র তামিমেরই রয়েছে সেঞ্চুরি করার কীর্তি। আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে তিন অঙ্কের দেখা পাননি।

দিনটি ছিলো ১৩ মার্চ, ভেন্যু ধর্মশালা হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় ও দ্বিতীয়টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনার পর বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় বাংলাদেশের সুপার টেনের টিকিট নিয়ে তেমন চিন্তা ছিলো না।

কিন্তু ভিন্ন কিছুরই পরিকল্পনা ছিলো ওমানের। তাই তো টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা মসৃণ ছিলো না। ওপেনার সৌম্য সরকার কিছুতেই ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত সপ্তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ২২ বলে মাত্র ১২ রান করেন তিনি।

সৌম্য আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৬.৫ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৪২ রান। অর্থাৎ তখন পর্যন্ত কোনোমতে ছয় রান রেটে খেলছিলো টাইগাররা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংসের গতিপথ পুরোপুরি বদলে দেন সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল।

দুজনের ৯.১ ওভারের জুটিতে আসে ৯৭ রান। দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়ে ১৬তম ওভারের শেষ বলে আউট হন সাব্বির। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। পরে শেষ চার ওভারে ৪১ রান যোগ করেন তামিম ও সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের ইনিংসের ১৮তম ওভার শেষে তামিম অপরাজিত ছিলেন ৯৭ রানে। তামিমকে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দেখে দারুণ বোলিং করেন বিলাল খান। প্রথম তিন বল থেকে কোনো রানই আসেনি সেই ওভারে। যে কারণে ৫৬ বলে ৯৭ থেকে ৫৯ বলে ৯৭ হয়ে যায় তামিমের ইনিংস।

চতুর্থ বলে ফুরোয় অপেক্ষা, বিলালের লো ফুলটস ডেলিভারি কভার দিয়ে ড্রাইভ করেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তামিম। হেলমেট খুলে ব্যাট হাওয়ায় ঘুরিয়ে উন্মত্ত উদযাপন করেন দেশসেরা ওপেনার। দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়ে এমন উদযাপনই মানানসই ছিলো তার জন্য।

শতরান পূরণ করতে তামিম খেলেন ৬০ বল। যেখানে ছিলো ১০ চার ও ৫ ছয়ের মার। শেষ ওভারে একটি করে চার-ছয়ের মারে ১৫ রান তুলে বাংলাদেশকে ১৮০ রানে পৌঁছে দেন সাকিব। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৭ করে। প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১০৩* রান।

সেদিন বিশ্বের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন তামিম। এই সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯-এ। কিন্তু তামিম ছাড়া বাংলাদেশের আর কেউ এখনও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংসও তামিমের দখলে। জাগোনিউজ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টি-টোয়েন্টি, তামিম
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন