parbattanews

আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ

সিলেটে সিরিজের রুদ্ধশ্বাস প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ২ উইকেট আর এক বল হাতে রেখে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজে নিয়েছে ১-০ লিড।

শেষ ওভারে দরকার মাত্র ৬। করিম জানাতের করা ওই ওভারে প্রথম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজ বাউন্ডারি হাঁকালে বাংলাদেশের জয় বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে যায়। কে জানতো এরপর এমন নাটক অপেক্ষা করছে!

তাওহিদ হৃদয় আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী দেখালেন তারুণ্যের শক্তি। চাপের মুখে ভড়কে না গিয়ে দুর্দান্ত এক জুটি গড়লেন তারা। যে জুটিতেই ম্যাচটা চলে আসে বাংলাদেশের দিকে।

রান তাড়ায় আরও একবার শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি উইকেট উপড়ে দেন রনি তালুকদারের (৫ বলে ৪) স্টাম্প। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা করেছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ওমরজাইকে মিডউইকেট দিয়ে দারুণ একটি ছক্কাও হাঁকান। কিন্তু আরও একবার দৃষ্টিকটু আউটে শেষ হয় শান্তর ইনিংস। বল তার কনুইয়ে লেগে ভেঙে যায় স্টাম্প। ১২ বলে শান্ত করেন ১৪।

লিটন দাস ঠিক টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারছিলেন না। ১৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে ডাউন দ্য উইকেটে ওমরজাইকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আসেন এই ওপেনার। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৭.২ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৪১ রান তোলার পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ওই অবস্থায় খেলা আর না হলে বাংলাদেশ হেরে যেতো।

মারমুখী হয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। আগের ওভারে দুই বাউন্ডারি হজম করা ফরিদই বাউন্সি ডেলিভারিতে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ বানিয়েছেন। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে সাকিব তখন ১৯ রানে।

৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদেই ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। তাওহিদ হৃদয় আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী মারকুটে জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন।

এর আগে ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল আফগানিস্তান। ১৬ ওভার শেষেও তাদের রান ছিল ১০১। কিন্তু মোহাম্মদ নবি আর আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের এক জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়ে গেছে আফগানরা। সাকিব-তাসকিন-মোস্তাফিজদের পিটিয়ে শেষ ৪ ওভারে সফরকারী দল তুলেছে ৫৩ রান। সবমিলিয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ করে ১৫৪।

Exit mobile version