parbattanews

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫৭ রান পেলেই জিতবে বাংলাদেশ

টস জিতে আগে বোলিং নিলেও শুরুতে সুবিধা করতে পারছিল না বাংলাদেশের পেসাররা। সময় গড়াতেই টাইগার বোলাদের দাপটে চাপে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। টাইগার বোলিং তোপে আফগানদের ব্যাটিং বিপর্যয়। ১১২ রানে দুই উইকেট হারানো আফগানরা থামে ১৫৬ রানে।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চড়াও হয়ে ওঠেন আফগান দুই ওপেনার। পেসাররা সুবিধা করতে না পারায় ইনিংসের সপ্তম ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বাধ্য হয়ে আক্রমণে আসেন অধিনায়ক সাকিব। এসেই তুলে নিলেন ইব্রাহিম জাদরানকে (২২)। সুইপ করতে গিতে তানজিদ হাসানের হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৭ রানের জুটি। এরপর রহমত শাহকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ার দিকে যাচ্ছিলেন গুরবাজ। দলীয় ৮৩ রানে রহমত শাহকে ফিরিয়ে সেই জুটিও ভেঙে দেন সাকিব।

দুই উইকেট হারিয়ে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও হাসমতউল্লাহ শহিদী জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। শহিদীকে ১৮ রানে ফিরিয়েছেন মিরাজ। এরপর দলীয় ১১২ রানে গুরবাজের প্রতিরোধ ভাঙেন মুস্তাফিজ। ৬২ বলে ৪টি চারের সঙ্গে ছয় ১টি মারেন আফগান ওপেনার। স্কোরকার্ডে ১০ রান যোগ হতেই নজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করেন সাকিব। এতে সাকিব পেয়েছেন তার তৃতীয় উইকেট। এরপর নবীর স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেয় তাসকিন।

৬ উইকেট হারিয়ে আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন রশিদ খান। তবে দলীয় ১৫৬ রানে রশিদকে বোল্ড করেন মিরাজ। এরপরই ওমরজাইকে আউট করেন পেসার শরীফুল ইসলাম। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুইটি উইকেট দখল করেন শরীফুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টস জিতে সাকিব বলেছেন, ‘রান তাড়া করার জন্য এটা উপযুক্ত মাঠ। শুরুর দিকে পেসারদের ভালো সুবিধাও পাওয়ার কথা’ ওপেনিংয়ে থাকছেন লিটন ও তানজিদ। একাদশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। একাদশের বাইরে আছেন নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান।

বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য থাকলেও এবারের টুর্নামেন্টে অবশ্য টাইগারদের প্রধান লক্ষ্য সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে তেমনটাই জানিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিশ্বকাপ জিততে চাই। আপনি আমাকে যখন সঠিকভাবে জিজ্ঞেস করেছেন সত্যিকারার্থেই কেমন সুযোগ আছে? তাহলে বলবো–যদি আমরা চার-পাঁচটা ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে সেমিফাইনাল বা নক-আউট স্টেজে খেলতে পারবো। এটি আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নবীন-উল-হক ও ফজল হক ফারুকী।

Exit mobile version