আবারও করোনায় মৃতদের লাশ দাফনে হাজির খোরশেদ
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাক্রান্ত মৃতের লাশ দাফন ও সৎকারে এগিয়ে আসা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড এর সেই আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ফের করোনাক্রান্ত মৃতের লাশ দাফন করল।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী এলাকার হাজি নাজিম উদ্দীন (৭০) করোনা আক্রান্ত হয়ে রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় তার পরিবার ‘টিম খোরশেদ’কে লাশ দাফনের আহ্বান জানায়।
খবর পেয়ে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার টিম সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জে এসে ওই লাশ দাফন করেন।
টিম খোরশেদের মধ্যমনি নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানায়, রোববার মধ্যরাতে একটি ফোনকল আসে তার মোবাইলে। ফোন রিসিভ করার পর অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মৃতদেহকে গোসল ও দাফনের কোনো লোক পাওয়া যাচ্ছে না।
তাই লাশ দাফনে তার সহযোগিতা চায় মৃত ব্যক্তির পরিবার। খবর পেয়েই ‘টিম খোরশেদের’ স্বেচ্ছাসেবকরা ভোরে মরহুমের গোসল ও জানাজা শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করে।
এ সময় কাউন্সিলর খোরশেদের টিমে আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ শিব্বির, নাজমুল কবীর নাহিদ, হাফেজ রিয়াদ, আনোয়ার হোসেন, সুমন দেওয়ান, মো. নকীব ও নাঈম মোল্লা।
সোমবার বাদ ফজর দাফন করা লাশ নিয়ে এ পর্যন্ত খোরশেদ ও তার দল ১৬৩ লাশ দাফন করল বলে জানিয়েছেন তিনি। সিদ্ধিরগঞ্জে এর আগেও ১০ লাশ দাফন করে ‘টিম খোরশেদ’।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশ পড়েছিল পথেঘাটে ও বাড়ির আঙিনায়। সংক্রমণের ভয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা কেউ লাশ দাফনে এগিয়ে আসেনি।
সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাশ দাফন ও সৎকারে এগিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে আবারও কোভিড-১৯ রোগীদের লাশ দাফনের কাজ করেছেন করোনা বীর উপাধি পাওয়া খোরশেদ।