আবারও পানিবন্দী মানুষ: ঘুমধুমে পাহাড় ধসে আহত ৩
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকায় আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। পানি নেমে যাওয়ার ৪৮ঘন্টার ব্যবধানে এলাকটি দ্বিতীয়বারের মতো পানিবন্দী হলো। রবিবার সকাল থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ইউনিয়নটি। এদিকে শূণ্য রেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার হাজার শরণার্থীর বসতঘরও তলিয়ে গেছে পানিতে। বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে পাহাড় ধসের ঘটনা। আহত হয়েছে ৩ জন।
জানা গেছে, রবিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু মনজয়পাড়ার বাসিন্দা আয়ুব আলীর বসতবাড়িতে বিশালাকৃতির একটি পাহাড় চাপা পড়ে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো গৃহকর্তার স্ত্রী শাহানু আক্তার (৩৮), ছেলে মো. রুবেল (১৭) ও মেয়ে তসলিমা আক্তার (১৪)।
ক্ষতিগ্রস্ত আয়ুব আলী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বড় একটি পাহাড় আয়ুব আলীর বসতবাড়িতে পড়লে ঘরে থাকা ৩সদস্য মাটি চাপা পড়ে। এসময় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দা এমডি জসিম উদ্দীন জানান আহতদের পার্শ্ববর্তী উখিয়া কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, এক সপ্তাহ, দুবার ঘুমধুম ইউনিয়নে বন্যার শিকার হয়েছে মানুষ। এতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাহাড় ধস ও বণ্যায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।