আবুল হোসেন হত্যার প্রতিবাদে সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন চুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীদের মো: আবুল হোসেনকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ।
রোববার (২৯ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নীন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ হরতাল আহবান করে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. আলহাজ্জ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া, পার্বত্য বাঙালী ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শেখ আহমেদ রাজু।
বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া প্রশ্ন রেখে বলেন, উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে না পারার অপরাধে আর কতজনকে প্রাণ দিতে হবে? আর কতো আবুল হোসেনের লাশ দেখতে হবে? আর কত তাজা প্রাণ কেড়ে নিবে সন্ত্রাসীরা? তিনি এ মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবী করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবী করেন।
তিনি এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহবান জানিয়ে আরো বলেন, ‘তাদেরকে আর চাঁদা দিবেননা। চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতিটি বাঙালী হত্যার জন্য উপজাতীয় নেতাদেরকেই অবশ্যই জবাব দিতে হবে। তারা মন্ত্রী এমপি হবেন, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ যাবতীয় নেতৃত্বে থাকবেন আর এভাবে বাঙালীদের হত্যা করবেন, এভাবে চলতে দেওয়া যায়না। প্রতিটি হত্যার জন্য তাদেরকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আবুল হোসেনের হত্যাকারীদেরকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার ও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এবং বামা গোমতি সহ পার্বত্য জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনাক্যাম্প স্থাপন এবং সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত পার্বত্য এলাকায় কম্পিং অপারেশনের মাধ্যমে উপজাতীয় সস্ত্রাসীদের নিকট থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের সিদ্ধান্ত দ্রত বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার বামা গোমতি এলাকায় সন্ত্রাসীরা মো: আবুল হোসেনকে গুলি করে। পরে তাকে প্রথমে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার রাত সোয়া আটার দিকে সে মারা যায়।