parbattanews

আমরা ইসরায়েলের পাশে আছি: নরেন্দ্র মোদি

গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছিল। আর এসব অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অপরদিক অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হামাসের উপর চাপ বাড়ছিল। আর এসব চাপের মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে শনিবার ইসরায়েলে ব্যাপক হামলায় কেঁপে উঠেছে পুরো ইসরাইল। ২০ মিনিটে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়ে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠন। পাল্টা হামলা চালায় দখলদার ইয়াহুদিবাদী ইসরায়েল। এতে ইসরায়েলি সেনাসহ নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আকস্মিকভাবে গাজা উপত্যকার সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করে ইসরাইলের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। হামাসের রকেট হামলা এবং ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলায় কয়েক ঘণ্টায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত মধ্য প্রাচ্যের এ অঞ্চল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযানে ৩৫ ইসরায়েলি সেনাসহ আটক হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি। কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ওপর এটিই হামাসের সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা।

হামাসের এই হামলার পরই নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে হামাসের হামলার নিন্দা এবং এমন কঠিন মুহূর্তে ইসরায়েলের পাশে থাকার কথা ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

ইসরায়েলবাসীকে নিরীহ সাব্যস্ত করে মোদি বলেন, ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে বিস্মিত হয়েছি। নিহত নিরীহ মানুষ ও তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এমন কঠিন মুহূর্তে আমরা ইসরায়েলের পক্ষে আছি।

অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সাহস জুগিয়ে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুরনো। ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে পুরোপুরি সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।

পাল্টা উত্তরে নেতানিয়াহু বলেন, এ সমস্যা সমাধানে অভিযান জোরদার এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে সমর্থন দেয় বাইডেন। এ সমর্থনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান নেতানিয়াহু।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবারের এ হামলার জন্য ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকেই দায়ী করছে। তবে এর পেছনের যে কাহিনী রয়েছে— সেটি কোনো পশ্চিমা নেতাই উল্লেখ করছেন না বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির কূটনৈতিক এডিটর জেমস বায়ে।

এদিকে ইসরায়েলি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ। রোববার লেবাননের সামরিক-রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এই হামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।

হিজবুল্লাহর ভাষ্যমতে, তারা একটি বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েলি অবস্থানে বড়সংখ্যক আর্টিলারি শেল ও গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। বিবৃতিতে বলা হয়, ইহুদিবাদী শত্রু ইসরায়েল অধিকৃত লেবাননের শেবা খামারের তিনটি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এই হামলায় বিপুলসংখ্যক আর্টিলারি শেল ও গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

Exit mobile version