আমরা সবাই বাঙালি, এ নিয়ে আর কোনো আলোচনার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না- তথ্য প্রতিমন্ত্রী

fec-image

‘এখানে জাতীয়তার সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আদিবাসী, নৃগোষ্ঠী, উপজাতি- এগুলোর কোনোটাই না। আমাদের এই দেশ ও জাতির নাম নির্ধারিত। যুদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা বাঙালি। আমাদের আর কোনো নাম নেই। তারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তাদেরকে দেশ ও জাতির স্বার্থে এগিয়ে আনার জন্য এই নামগুলো ব্যবহার করা হয়, এর বাইরে কিছু না। এরা আলাদা কোনো জাতি না, এরা বাঙালি। আমরা বাঙালি জাতি, এই সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা আছে কিনা আমার জানা নেই। এই সংজ্ঞা জাতির পিতা নির্ধারণ করে গিয়েছেন, আমরা বাঙালি, বাঙালি জাতি। আমাদের অন্য কোনো নাম নেই।’

স্টাফ রিপোর্টার:
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাটা একেবারেই নির্ধারিত। আধিপত্য বিস্তার, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজী ও নিজেদের মধ্যে মত বিরোধ, অনৈক্য। এসব সমাধানে স্থানীয় প্রতিনিধিদেরই কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, এখানে জাতীয়তার সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আদিবাসী, নৃগোষ্ঠী, উপজাতি- এগুলোর কোনোটাই না। আমাদের এই দেশ ও জাতির নাম নির্ধারিত। যুদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা বাঙালি। আমাদের আর কোনো নাম নেই।

তারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তাদেরকে দেশ ও জাতির স্বার্থে এগিয়ে আনার জন্য এই নামগুলো ব্যবহার করা হয়, এর বাইরে কিছু না। এরা আলাদা কোনো জাতি না, এরা বাঙালি। আমরা বাঙালি জাতি, এই সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা আছে কিনা আমার জানা নেই। এই সংজ্ঞা জাতির পিতা নির্ধারণ করে গিয়েছেন, আমরা বাঙালি, বাঙালি জাতি। আমাদের অন্য কোনো নাম নেই।

অঞ্চল ভেদে হয়তো আমাদের কিছু নাম ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। সেসবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা বলতে চাই, জাতি হিসেবে আমরা বাঙালি। এখানে আর কোনো আলোচনার অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না। কারো মনে করা সঠিক কি না আমি সেটা বুঝি না। এই আলোচনা, বিতর্কের সুযোগও আছে কিনা আমি বুঝি না।

৪৮ বছর পরে আমরা আমাদের নিজেদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় নির্ধারণ করতে পারবো না, এজন্য তো স্বাধীনতা অর্জন করি নাই। আমরা বাঙালি আমাদের নেতার নাম, জাতির পিতার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কৃষ্টি-কালচারকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে নিবিড় বন্ধনে। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সরকার সবসময় সজাগ রয়েছে। তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মতো। একই সঙ্গে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সেখানে অনেক পক্ষ থাকায় সরকারের একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় এবং তা উচিতও নয়। তাই আমরা সব গোষ্ঠীকে একসঙ্গে নিয়েই এগোতে চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ্ত চাকমা, আসাদুজ্জামান সাত্তার, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেমন্ত ত্রিপুরা প্রমুখ। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন