আমাদের অবশ্যই সাসটেইন্যাবিলিটির দিকে অগ্রসর হতে হবে : রিজওয়ানা হাসান


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি সুন্দর, সুজলা-সুফলা, নিরাপদ ও সবুজ শস্য-শ্যামল দেশে রূপান্তর করতে হলে আমাদের অবশ্যই সাসটেইন্যাবিলিটির দিকে অগ্রসর হতে হবে। এজন্য নাগরিকদের সচেতনতা, জীবনধারায় পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত ভোগ কমানো জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
৩০ আগস্ট শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি কনক্লেভ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন ও কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, জনগণের দাবিই প্রমাণ করে পরিবেশ সুরক্ষা কতটা জরুরি। সাদা পাথর লুট, কৃষিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার, পলিথিন ব্যাগের চল এবং উন্নয়নের নামে পাহাড়–বনভূমি ধ্বংস—এসব রোধ করতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে সরকারের কাছে ট্যাক্স প্রণোদনার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, হাতিলের চেয়ারম্যান সেলিম এইচ. রহমান, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের হেড অব ইনফ্লুয়েন্সিং মো. শরীফুল ইসলাম ও মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জন্য টেকসই উন্নয়ন কোনো বিলাসিতা নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতা। সরকার, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করলে টেকসই বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

















