parbattanews

আমিরাতে জ্বালানির দাম কমায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে ফিরছে স্বস্তি

রোববার (৭ আগস্ট) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমার আশা করা হচ্ছে। এদিকে জ্বালানির পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের দাম কমায় দেশটির খুচরা বিক্রেতারা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইউক্রেন থেকে এরই মধ্যে শস্য ও রান্নার তেল রপ্তানি শুরু হয়েছে। তাছাড়া ভারতও চিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এতে আমিরাতের খুচরা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, কমবে মূল্যস্ফীতির হার।

তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন থেকে মাত্র রপ্তানি শুরু হয়েছে। তাই দাম কমার বিষয়টি এক সপ্তাহের মধ্যেই আমিরাতে প্রভাব ফেলবে। ধারণা করা হচ্ছে, রান্নার তেল ও শস্যে মূল্য কমতে পারে ৩০ শতাংশ।

দেশটির আল আদিল ট্রেডিং-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ধনঞ্জয় দাতার বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্য দুইটির রপ্তানি ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে বন্ধ ছিল। এখন দেশ দুইটি মজুত করা পণ্য কমাতে কম দামে বিক্রি করছে। এতে আমদানিকারক থেকে শুরু করে ভোক্তারা সুবিধা ভোগ করবেন।

খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে যে জুলাই মাসে খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে রয়েছে পাম তেল, সূর্যমুখী তেল, গম, মোটা শস্য, ভুট্টা ও চিনির দাম।

এফএও-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো বলেছেন, খুব উচ্চ স্তর থেকে খাদ্যদ্রব্যের দামের পতনকে স্বাগত জানাই।

আল মায়া গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর ও অংশীদার কামাল ভাচানি বলেছেন, ইউক্রেন থেকে গম ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি দামের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে এবং শেষ পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা উপকৃত হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে নিম্নমুখী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। শুক্রবার (৫ আগস্ট) সামান্য বাড়লেও এর সাপ্তাহিক মূল্য রয়েছে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, গত শুক্রবার অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ৮০ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৯৪ দশমিক ৯২ মার্কিন ডলার, যা আগের শুক্রবারের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৭ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৮৯ দশমিক ০১ ডলার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় আট শতাংশ কম।

Exit mobile version