আম্রকাননে শোভা পাচ্ছে সোনালী মুকুল

fec-image

পানছড়ির প্রতিটি আম্রকাননে এখন শোভা পাচ্ছে সোনালী মুকুল। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে এই মুকুল থেকে ঐ মুকুলে ছুটে বেড়ায় মৌমাছির দল। উপজেলার বাগানগুলোতে সোনালী মুকুল ঝুলে থাকার দৃশ্য সবার নজর কাড়ে।

মাত্র ৩/৪ বছর বয়সী গাছগুলিও মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়ার নয়নাভিরাম চিত্র একবার দেখলে মনে দাগ কাটবে অনেকদিন। গেল বছর উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছিল। তাই চায়ের আড্ডায় সামনের ইউপি নির্বাচনী আলাপচারিতার পাশাপাশি চলছে আম্র মুকুল নিয়ে যত কথা।

প্রবীন মুরব্বীরা কেউ কেউ বলছে, আম চাষীদের ভাগ্যের দুয়ার এবারও খুলে গেছে, আবার কেউ কেউ বলছে বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের এটি পূর্ব লক্ষণ। আবার কেউ বলছে, হাজার হাজার গাছের আম্র মুকুল পানছড়িকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। কংচাইরী পাড়ার মংশী মারমা জানান, আম্র পালি, মল্লিকা, গোপাল ভোগ, রাঙ্গোয়াইসহ নানান জাতের গাছ দিয়েই সাজিয়েছে বাগান। বর্তমানে কয়েক সহস্রাধিক গাছে শোভা পাচ্ছে আম্র মুকুল। তবে কিছু কিছু গাছে মুকুল আসে দেরীতে। বিশেষ করে রাঙ্গোয়াই জাতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার হবে। তিনি বলেন, গেল বছর সাত লক্ষ টাকায় বাগান বিক্রি করেছেন। বাগান মালিক নোনা চাকমা, সাদ্দাম হোসেন, দেবাশীষ চাকমা, বাবুল চাকমাসহ অনেকেই বাম্পার ফলনের সম্ভবনার কথা জানালেন।

উপজেলার সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণাংকর চাকমা জানান, উপজেলায় ছোট বাগানের সংখ্যা আনুমানিক ছয় থেকে সাতশত আর বড় বাগান রয়েছে পঁচিশ থেকে ত্রিশের মতো। গতবারে আবাদ হয়েছিল ১৯০ হেক্টর আর ফলন হয়েছিল ১১৪০ মেট্টিক টন। এ বছর আবাদ হয়েছে ২০৫ হেক্টর।

তিনি আরও বলেন, এমন কোন গাছ বাদ পড়েনি যে মুকুল আসেনি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় বাগানের তদারকী করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। পরিবেশ, অনুকুল আবহাওয়া ও ঝড়-বৃষ্টিতে মুকুল ক্ষতিগ্রস্থ না হলে আমের বাম্পার ফলন হয়ে গতবারের চেয়েও বেশি আম নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবার আশা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন