আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২৮ জানুয়ারি ও শুক্রবার ২৯ জানুয়ারি এই ২ দিনে এসব রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ভাসানচরে এটি হচ্ছে তৃতীয় দফায় এবং বৃহৎ সংখ্যায় রোহিঙ্গা শরণার্থী স্থানান্তর। সংশ্লিষ্ট সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভাসানচরে নিয়ে যেতে বুধবার ২৭ জানুয়ারি সি-লাইন সার্ভিসের ২০টি মিনিবাস ও মাল বহনকারী ১০টি ডাম্পার ট্রাকের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিয়ে আসা হয়েছে ট্রানজিট পয়েন্ট উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে। বুধবার যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে নেওয়ার জন্য ট্রানজিট পয়েন্টে আনা হয়েছে, সেগুলো হলো-বালুখালী ক্যাম্প নম্বর-৮ পূর্ব, ৯, ১০, ১১, ১২, ও ১৮ নম্বর ক্যাম্প। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই দলটি বৃহস্পতিবার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা দিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে। সোখান থেকে সমুদ্র পথে জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
একইভাবে শুক্রবার ২৯ জানুয়ারি কুতুপালং-১ ইস্ট, ২ ইস্ট, এবং ২ ওয়েস্ট ক্যাম্প থেকে আরও প্রায় ২ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর পৃথক একটি দল ভাসানচরে রওনা দেবে। তাদেরকে ক্যাম্প থেকে ট্রানজিট পয়েন্ট উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আনা হচ্ছে।
ক্যাম্পের একজন মাঝি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে স্বেচ্ছায় ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট ভাসানচরে যেতে আগ্রহীদের তালিকা যারা জমা দিয়েছিল, তারা ভাসানচরে যাচ্ছে। তৃতীয় দফায় দুইদিনে রোহিঙ্গাদের বিশাল বহর স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাদের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে।
উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কমপক্ষে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তর করার টার্গেট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সুত্রমতে, আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আরও একটি দল উখিয়া-টেকনাফ এর শরণার্থী ক্যাম্প থেকে চতুর্থ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।