parbattanews

আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ সংগঠনটির ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বান্দরবানের মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এই আদেশ জারি করে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে তদন্ত শেষে গত ১৫ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলাঘটনার তদন্ত শেষে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

জানা যায়, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১৩ জনকে আটক করেছে। বাকিদেরও আটকে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।

এদিকে এর আগে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নাম আলোনায় আসলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে রাখা হয়নি। এই প্রথম কোন আলোচিত মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আরসার সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলো। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরি করে অস্ত্র তৈরির কারখানা ও গোপন আস্তানা করেছিল সংগঠনটি। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল গোল্ডেন আরাকান নামে অত্যাধুনিক মানের একটি রেস্টুরেন্টও। এছাড়া শূন্যরেখার এই আস্তানায় বসে সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক কারবার পরিচালনা করতেন আতাউল্লাহ।

এর আগে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর আস্তানায় মাদক মজুদের খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‍্যাব যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযানে গোয়েন্দা সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এর পরেই অভিযোগ উঠে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও খালেদের নেতৃত্বে তাকে হত্যা করা হয়েছিলে। এদিকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আরসার ঘাঁটিতে হামলা চালায় আরএসও। এসময় পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায় আরসার সন্ত্রাসীরা।

Exit mobile version