parbattanews

আরাকান আর্মির ঘাঁটি নিয়ে মুখোমুখি মিয়ানমার সরকার ও ৮ সশস্ত্র গ্রুপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি (এএ) কে ঘাঁটি তৈরি করতে দেয়ার একটি প্রস্তাব নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়ায় মিয়ানমার সরকার ও আটটি জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে বৈঠক ভেঙ্গে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি (এনসিএ) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠক ভেঙ্গে যাওয়ায় চুক্তি (এনসিএ) স্বাক্ষরিত হয়নি।

ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন এন্ড পিস সেন্টারের ডেপুটি চেয়ারম্যান উ তিন মিও উইন বলেন যে, এএ যেন ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে সরকার চেষ্টা করে যাবে।

তবে দুই পক্ষই আস্থা জোরদারে আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে।

গত নভেম্বর থেকে রাখাইন রাজ্যে এএ ও তাতমাদাওয়ের (আর্মি) মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে। এতে উভয় পক্ষের ব্যাপক ক্ষতি ও হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

উইন বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ এলাকায় কোন সশস্ত্র গ্রুপকে ঘাঁটি তৈরি করতে দেয়া হলে তা শান্তি ও নিরপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করবে। তাই সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

আলোচনায় এএ’র রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লীগ অব আরাকানের (ইউএলএ) প্রতিনিধিত্বকারী কর্নেল কিয়াও হান সাংবাদিকদের বলেন, তার সংগঠনের অন্যতম লক্ষ্য হলো রাখাইনে আরাকান সশস্ত্র বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করা।

তিনি বলেন, আমদেরকে যা করতে হবে সেটাই আমরা করছি কারণ রাখাইন সেনাবাহিনীই রাজ্যের নিরাপত্তা ও শান্তির দায়িত্ব গ্রহণ করতে সক্ষম বলে আমরা বিশ্বাস করি।

স্টেট কাউন্সিলর অফিস মন্ত্রণালয়ের মহাপারিচালক উজাও তায়ে বলেন, রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব পালন করে যাবে সরকার। রাখাইনে কোন সশস্ত্র গ্রুপ ঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী তাদেরকে গুড়িয়ে দেবে বলেও মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, প্রধান কথা হচ্ছে তারা জনগণের দুর্ভোগ বয়ে আনছে। তাই সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাবে।

আবারও বৈঠকে বসতে সম্মত হওয়া ছাড়াও, আটটি সশস্ত্র গ্রুপ ও সরকারি আলোচকরা সশস্ত্র সংঘাত কমিয়ে আনা, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও জনগণের উদ্বেগকে অগ্রাধিকার প্রদান এবং বন্ধুত্বপূর্ণ ও রাজনৈতিক উপায়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য নিরসনের উপায় তালাশ করতে রাজি হন।

ইউএলএ ছাড়াও বৈঠকে ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি, কাচিন ইনডিপেনডেন্স অর্গানাইজেমন, শান স্টেট প্রগ্রেসিভ পার্টি, ইস্টার্ন শান স্টেট পিস এন্ড সলিডারিটি কমিটি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ট্রথ এন্ড জাস্টিস পার্টি, পালং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট ও কারেন ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি অংশ নেয়। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

Exit mobile version