parbattanews

বিজিবির উপর হামালাকারী এই ‘আরাকান আর্মি’ কারা?

aa 1

 

স্টাফ রিপোর্টার:

বিজিবির উপর হামলাকারী হিসাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মির নাম বলায় সারা দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এ কথা জানতে যে কারা এই আরাকান আর্মি। কেননা এর আগে বিভিন্ন সময় বিজিবি’র সাথে বিরোধে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন(আরএসও), বিজিপি, মিয়ানমার আর্মির নাম আসলেও আরাকান আর্মির কথা সেভাবে জানা যায়নি।

ইন্টারনেট তথ্য সূত্রে জানা গেছে, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের কোনো সরকারি বাহিনী নয়। এটি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন। দ্য আরাকান আর্মি, যাদের সংক্ষিপ্ত কোড ‘এএ’। শুধু আরাকান আর্মিই নয়, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে আরো বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত।

বৌদ্ধ বিদ্রোহী এই সংগঠনটি চীনের উত্তর-পূর্ব ও মিয়ানমারের সর্ব উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যের স্বাধীনতার জন্য সরকারি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে। এদের মূল অবস্থান কাচিন রাজ্যের আরাকানে।

বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলা গ্রুপ হলেও তাদের যুদ্ধ কৌশল ও প্রশিক্ষণ সেনাবাহিনীর মতো। এ ছাড়াও তাদের কাছে রযেছে উন্নতমানের অস্ত্র।

সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছে বিজিবি এবং সেনাবাহিনী। এরকম একটি অভিযানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপহৃত দু’ সদস্যকে উদ্ধার করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বিজিবি। বান্দরবানের ওই এলাকাটি এতোই দুর্গম যে ৪৩৯ কিলোমিটার এলাকায় কিছু পাহাড়ী বসবাস করলেও সরকারিভাবে কোনো স্থাপনা নেই। ৫৩৯ কিলোমিটার সীমান্ত এরাকার মধ্য গতবছর এক বছরে ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবি তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।

২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১২ সালে এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করে আরাকানে তাদের ৪০০-৫০০ সদস্য রয়েছে। তাদের স্লোগান হলো আরাকানি মানুষের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ।

তাদের দাবি তারা জাতীয় পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে। এছাড়া জাতীয় মর্যাদা ও আরাকান ন্যাশনাল স্বার্থ উন্নয়নের জন্য তারা কাজ করে। এই বাহিনীর প্রধান তুয়ান মার্ট নায়াং বলে চ্যানেল আইএর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে।

অন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে আছে ‘আরাকান লিগ ফর ডেমোক্রেসি। ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দলটি ১৩ জানুয়ারি ২০১৪তে ভেঙ্গে গেলে আগে চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে যায়।

আর ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আরাকান লিবারেশন পার্টি। এটিও আরাকানের স্বাধীনতা এবং জাতীয়তা রক্ষার আন্দোলন করছে। ১৯৭৩ ও ১৯৮১ দলটি পুনগঠন করা হয়। এই দলের সদস্য সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। সম্প্রতি সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় সম্মত হয়েছে তারা।

এগুলো ছাড়াও আরাকানের আরো ছোট ছোট অনেক বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী সরকারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।

ধারণাা করা হচ্ছে গত মঙ্গলবার তাদের ১৩টি ঘোড়া আটককে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।

ছবি: আরাকান আর্মির ওয়েবসাইট থেকে নেয়া।

Exit mobile version