parbattanews

আরাকান আর্মি মিয়ানমারের ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে আটকের দাবি করেছেন

এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ মিয়ানমারের ২০ সৈন্যকে আটক করেছেন বলেছেন জানিয়েছেন আরাকান আর্মি (এএ)।

মঙ্গলবার(১০ মার্চ) কিয়াকতাও ও পালেতওয়া টাউনশিপের মধ্যকার সীমান্তে থাকা কালাদান নদীর পূর্ব দিকে মন্ত থঅন পিইন গ্রামে যুদ্ধের পর তারা সরকারি সেনাদের আটক করে বলে জানানো হয়েছে।

আরাকান আর্মি জানায়, বাগো অঞ্চলের ফাইয়াহিতে মোতায়েন লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ৭-এর সাথে প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে। এই ব্যাটালিয়নটি মঙ্গলবার এসেছিল চিন রাজ্যের মিওয়া হিলটপ চৌকির শক্তি বৃদ্ধি করতে। এএ দাবি করেছে, তারা ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল থেট নাইঙ ওওসহ ২০ সৈন্যকে আটক করেছে।

আরাকান আর্মির তথ্য কর্মকর্তা খাইঙ থুখা বুধবার ইরাবতীকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে তাদের সাথে আমাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। আমরা থেট নাইঙসহ ২০ সৈন্যকে গ্রেফতার করেছি।

তিনি বলেন, আরাকান আর্মি আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সামরিক সদস্যদের আটক রাখবে।

থুখা বলেন, তারা ২০ জনের বেশি মিয়ানমার সেনাসদস্যের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছে। এসময় তাদের সাথে অস্ত্র ও গোলাবারুদও ছিল।

মন্ত থান পিইন ও পিয়াঙ তিন গ্রামের লোকজন জানায়, যুদ্ধের সময় তাদের গ্রামে গোলা এসে পড়লে অনেকে হতাহত হয়েছে।

মন্ত থান পিয়ন থেকে পালিয়ে আসা ৩০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি নিহত ও একটি শিশু আহত হয় এক গোলার আঘাতে।

আঙ থারিয়ার গ্রামের লোকজন জানায়, তাদের গ্রামে মঙ্গলবারের গোলাবর্ষণে এক নারী নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত অনেকে অন্যত্র পালিয়ে গেছে।

ইউ কিয়াও সেনের মতে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী দুটি জঙ্গি বিমান নিয়ে ৮-৯ মার্চ তাদের গ্রামে হামলা চালায়। এতে গ্রামের ৬৬টি বাড়ির মধ্যে ৬২টিই ধ্বংস হয়ে গেছে। গ্রামে আগে লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ৪০০। বোমা হামলায় ২০টি গরু ও ৩০টি ছাগল মারা যায়।

কালাদান নদীর পাশের গ্রামগুলোতে এখনো ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বুধবার ইরাবতীকে বলেন, আরাকান আর্মির হামলার পর তারা তাদের সৈন্যদের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, তারা যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আরাকান আমি গত মাসেও মিওয়া সামরিক চৌকিতে হামলা চালিয়েছিল।

Exit mobile version