parbattanews

আর্জেন্টিনায় মেসিকে হুমকি দিয়ে গুলি ছুড়ল সন্ত্রাসীরা

আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। সারা বিশ্বের চোখে তিনি অনন্য একজন। কিন্তু নিজ দেশে! আর্জেন্টিনায় তাকে নিয়ে অবাক করার মতো ঘটনা ঘটেছে। প্যারিস সেন্ট জার্মেই ফরোয়ার্ডকে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়েছে। রোজারিওতে তার স্ত্রীর পরিবারের মালিকানাধীন সুপারমার্কেটে হামলা চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। তারপর মেসিকে হুমকি দিয়ে সেখানে একটি চিরকুট রেখে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রোজারিও পুলিশ এই খবর নিশ্চিত করেছে। শহরের ল্যাভেল্লে জেলায় অবস্থিত ইউনিকো নামের খাবারের দোকানের শাটার ও সামনের দরজায় ১৪টি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে বলে খবর। দুজন বন্দুকধারী মোটরবাইকে করে এই দিন ভোরবেলায় হামলা চালায়।

খুব সকালে এই ঘটনা ঘটার কারণে কেউ আহত হননি। কেন হামলাকারীরা মেসিকে কিংবা ইউনিকো সুপারমার্কেটকে লক্ষ্য বানালো সেটা অস্পষ্ট। পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা একটি কার্ডবোর্ডের উপর চিরকুট রেখে গেছে, লেখা ‘মেসি, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। জ্যাভকিন একজন মাদক কারবারি। সে তোমার দেখাশোনা করবে না।’

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহরের মেয়র পাবলো জ্যাভকিন। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার পর তিনি রোজারিওতে সহিংতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এছাড়া শহরে পুলিশের ঘাটতি ও নিরাপত্তার অভাব নিয়েও কথা বলেন।

জ্যাভকিনের উদ্বেগ নতুন নয়। এই সপ্তাহের শুরুতেও নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। এই শহরে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় আরো পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানান।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মেসি কিংবা তার স্ত্রী আন্তোনিও রোকুজ্জো কোনো মন্তব্য করেননি। রোজারিওর আইনজীবী ফেদেরিকো রেবোলা বলেছেন, কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছে এবং তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি যোগ করেন, এই প্রথমবার মেসির স্ত্রীর পরিবার এ ধরনের হুমকি পেলেন।

প্রাদেশিক সরকারের নিরাপত্তামন্ত্রী আনিবাল ফের্নান্দেজ বলেছেন, মাদকসংক্রান্ত সহিংসতা শহরটিতে নতুন কিছু নয় এবং বৃহস্পতিবারের হামলাও ছিল গত ২০ বছর ধরে চলা সহিংসতার আরেকটি অংশ।

রোজারিওতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফের্নান্দেজের প্রশাসনকে দুষছেন প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদরা। তার পূর্বসূরি মাউরিসিও ম্যাক্রি এই ঘটনাগুলোকে একটি সতর্কতা হিসেবে দেখছেন যে, দেশে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে সহাবস্থান অসম্ভব।

Exit mobile version